দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে কড়া আক্রমণ শানিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘুষখোর। রবিবার শুভেন্দু এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। শুধু বলেছিলেন, যা বলার সোমবার বলবেন তমলুকের সভা থেকে। এদিন পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু।

কালকে তোলাবাজ ভাইপো বলেছে, আমি ঘুষখোর, মধু খেয়েছি আর বিশ্বাসঘাতক!
মাননীয় তোলাবাজ ভাইপো। এমন ফেরেব্বাজ, চিটিংবাজ খুব কম আছে। ছোটবেলা থেকে চিটিংবাজিতে হাত পাকিয়েছে।

এখন কেউ ওকে এমবিএ লিখতে দেখেন? দেখেন না। আগে এমবিএ লিখত। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছিলেন, ওই নামে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লিতে নেই। তারপর থেকে তোলাবাজ ভাইপো আর এমবিএ লেখে না আর ওর আদরনীয়াও আর ডক্টরেট লেখে না।


কী বলছে? বলছে, টিভিতে তোমায় দেখা গেছিল কাগজে মুড়ে টাকা নিতে। আচ্ছা তোলাবাজ ভাইপো, তোমার বড় জ্যাঠামশাই সুব্রত মুখার্জীর কী হবে? তোমার মেজো জ্যাঠামশায় সৌগত রায়ের কী হবে? তোমার পিসিমণি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কী হবে? আর তোমার কাকু ববি হাকিমের কী হবে?
আমি তো আগেই বলেছি ম্যাথুকে টাকা দিয়েছিল কেডি সিং আর কেডিকে লাগিয়েছিল তোলাবাজ ভাইপো।


জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছে। ২৭ নভেম্বর আমি মন্ত্রিসভা ছেড়েছি ১ ডিসেম্বর চিঠি লিখিয়েছে। আইপিএস মিস্টার পাণ্ডে সেই চিঠি লিখিয়েছেন। নবান্ন থেকে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন জিবি সিং। আর ড্রাফ্ট করে দিয়েছেন ভাইপোর মোটা উকিল।

তাতে বিমান বসুর নাম লিখেছে। ভাবতে পারেন? সিপিএমের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করেছি। কিন্তু বিনয় চৌধুরী, সুকুমার সেনগুপ্তদের আমি শ্রদ্ধা করি। আমার লড়াই ছিল লক্ষ্মণবাবুদের বিরুদ্ধে। যে বিমান বসু নিজের পোশাক নিজে কাচেন, দুপুর বেলা মুড়ি-শসা খান তাঁর নাম লিখিয়েছে। আর অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী। যাঁরা একুশে বিরোধিতা করতে পারেন তাঁদের নাম লিখিয়েছে।


ম্যাডাম নারুলাটা কে? কার অ্যাকাউন্টে লালার টাকা যায়? কাসিকর্ণ ব্যাঙ্ক, থাইল্যান্ড। সিয়াম প্যারাগন ব্রাঞ্চ। প্রতি মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা যেত। আমি ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মিটিং করে আরও বলব।


খুব বড় বড় কথা। ১০ বছর মধু খেয়েছি না? তাহলে ২ ডিসেম্বর শ্যামবাজারে ক্যাবলার বাড়িতে আমার হাত পা ধরছিলিস কেন?
আমি সচরাচর তুই-তোকারি করি না। বন্ধুদেরও তুমি বলি। কিন্তু এর ভাষা শুনেছেন? আমি ওর থেকে ১৮ বছরের বড়। আর ঝাড়ে তো একই বাঁশ হবে। এক ঝাড়ে তো দুরকমের বাঁশ হয় না। মাননীয়া মোদীজিকে তুই-তোকারি করেছিলেন।
১১-র পর থেকে আমার কোনও পরিবর্তন হয়েছে? পোশাক, গাড়ির ব্র্যান্ড, নেশাভাং, খাওয়াদাওয়া, কোনও পরিবর্তন দেখেছেন? হাতে ঘড়ি নেই, আংটি নেই, গলায় হার নেই। আমার বাড়ির একটা তলাও বাড়েনি। ১০/১০ ঘরে ঘুমোই। আর তোমার হরিশ মুখার্জিতে চার তলা বাড়ি, বজবজে জলের কারখানা, দুর্গাপুরে মেডিক্যাল কলেজ, পুরীতে হোটেল। আর ম্যাডাম নারুলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here