অর্পিতা বনিক, বনগাঁ:

সারা বছর যেমন তেমনভাবে কাটালেও, পুজো উপলক্ষে বিশেষ শপিং বাঙালির একটি নিজস্বতা। হবে নাই বা কেন? বছরের এই তো চার দিন, যার অপেক্ষায় এক বছর কাটে। সেই আনন্দে রঙ লাগাতে ব্যাহ্যিক আড়ম্বর কিছুটা বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক।

হাতে আর কয়েকটা দিন। তার পরেই বাঙালির আহ্লাদে আটখানা হওয়ার দিনগুলো আসছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী, কী পোশাকে সাজবে বাঙালি, এখন চলছে তারই প্রস্তুতি পর্ব।

উৎসবের গন্ধ এখন বাংলার আকাশে বাতাসে। আর তো মাসখানেকও বাকি নেই৷ বনগাঁ শহরের রাস্তায় বাড়ছে ভিড়। নতুন জামা কিনতে ছুটছে বাঙালি। আর সেই ভিড়ের নজর কাড়তে মরিয়া বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা। সর্বত্রই পুজোর সেল, স্পেশাল ডিসকাউন্ট। আগে শোনা যেত একটা কিনলে একটা ফ্রি। এখন বাড়তে বাড়তে দুটো কিনলে পাঁচটা ফ্রি- এমন হাতছানিও আছে । শুধু কি জামাকাপড়? যাবতীয় পণ্যেই চলছে স্পেশাল ছাড়। দেখুন ভিডিও :


ছাড়ের রমরমা তো কেবল অফলাইনে নয়, অনলাইনেও। বিভিন্ন ওয়েবসাইট একদম যাকে বলে উপুড়হস্ত। বিপুল ছাড়- কোথাও ৪০ শতাংশ, কোথাও ৬০ শতাংশ। ক্রেতাদের পোয়াবারো। তবে অনলাইনে পোশাক কেনার বদলে অনেকেই পছন্দ করেন ভিড় ঠেলে, জামাকাপড় হাতে নিয়ে দেখে কেনাকাটি করতে৷ এর মজাই আলাদা।

কেন এত ছাড়? আসলে করোনা অতিমারীর আবহে ২০২০ এবং ২০২১ সালের পুজোর বাজার তেমন জমেনি। গত বছর বেশ খানিকটা নিরাময় হয়েছিল সেই ক্ষত। এবার পুরোপুরি ছক্কা হাঁকাতে মরিয়া ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতাদের কথায়, দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে বলে বাজার খানিকটা মার খাচ্ছে। কিন্তু পুজো এবার খানিকটা দেরিতে। হাতে এখনও কিছুটা সময় আছে। বৃষ্টি বিশেষ না হলে শুকনো মাঠে পুজোর শপিং আরও জোরে ছুটবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here