দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাত সকালেই জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ। বুধবার সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষজন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা সহ বিভিন্ন জেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে মুর্শিদাবাদেও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল অসমের সোনিতপুর ৷ পর পর দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আরেকটি কম্পন হয়েছে মূলত গুয়াহাটিতে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৬.৪। ভূপৃষ্ঠের ২১.৪ কিলোমিটার নিচে এই কম্পন ঘটে বলে জানা গিয়েছে।

ভূমিকম্পের জেরে অসমে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে খবর। দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা আরও তীব্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গুয়াহাটি থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এই কম্পনের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও পরিমাণ জানা যায়নি। আফটার শকের প্রবণতা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন ভূতত্ববিদরা।

কোচবিহার জেলায় অনেকক্ষন ধরে কম্পন অনুভব করেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি বহুতল থেকে ছুটে নামার হিড়িক শুরু হয়। অনেকেই দৌড়ে রাস্তায় ছুটে আসেন। ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় সাত সকালে বাজার করতে এসে থমকে দাড়ান সকলে। যানবাহন চলাচল থমকে যায় কিছুক্ষনের জন্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয় আবার আফটার শক অনুভূত হবে কিনা। স্থানীয় মহিলারা অন্ধবিশ্বাস থেকে বিপদ এড়াতে উলুধ্বনি দিতে শুরু করেন।

এদিকে, কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা শহরেও। নিউটাউন-রাজারহাট অঞ্চলে বহুতলের আবাসিকরা কম্পন অনুভব করেন। আতঙ্কে তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরা রাস্তায় চলে আসেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে একাধিক বহুতলের বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও শহরে কম্পনের মাত্রা কম ছিল বলেই খবর।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তখনও উৎসস্থল ছিল অসম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here