দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ
আমরা যদি মিথ্যা বলি সত্যি কি সেটা বলুন?” এই ভাষাতেই স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন নয়া নাগরিকত্ব আইনের লক্ষ্য নিয়েও। মঙ্গলবারই অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কে আহ্বান জানান। আজ মুখে সেভাবে চ্যালেঞ্জের জবাব বলে উল্লেখ না করলেও অমিত শাহকে লক্ষ্য করেই যে তাঁর প্রশ্ন তা স্পষ্ট হয় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যে।

মঙ্গলবার লখনউয়ের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ক্ষমতা থাকলে জনসমক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কে বসুন।” শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের নাম করেও চ্যালেঞ্জ ছোড়েন সদ্য প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি।

এদিন জনসভায় শাহ বলেন, “বিরোধীরা বাস্তবটা দেখতে পাচ্ছে না। কারণ ওদের চোখে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির চশমা লাগানো আছে।”এদিন দার্জিলিংয়ের জনসভায় মমতা বলেন, “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বড় বড় কথা বলছেন। ওরা সকালে এক, বিকেলে আরেক কথা বলে।”এর পরেই মমতা তিনটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন–

আমরা যদি মিথ্যা বলি সত্যি কি সেটা বলুন?

○ নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে আপনারা নিজেদের ইচ্ছা মতো কাউকে দেশে রাখবেন আর কাউকে তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন কি করেননি?

○ নাগরিকত্ব পেতে গেলে পাঁচ বছর থাকতে হবে এমন কথা বলা আছে কি নেই?

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এই তিন প্রশ্নই শুধু নয়, সেই সঙ্গে মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আরও প্রশ্ন তোলেন এদিন। বলেন, দেশের অর্থনীতি বেহাল কেন? কর্মসংস্থান হচ্ছে না কেন? আপনারা শিল্প বন্ধ করছেন কেন? বেসরকারিকরণ হচ্ছে কেন?

বুধবার দার্জিলিং শহরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিছিলও করেন মমতা। সেখানে ভানু ভক্ত ভবন থেকে চক বাজার পর্যন্ত মিছিলের একেবারে সামনে ছিলেন মমতা। সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা ছাড়াও ছিলের রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন। কলকাতায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতায় মমতাকে হাতে কাঁসর নিতে দেখা গিয়েছে। এদিন দেখা গেল বড় করতাল বাজিয়ে মিছিলে হাঁটছেন তিনি। মিছিল শেষে চকবাজারে সভা করেন তিনি। সেই সভায় কখনও নেপালি ভাষায় স্লোগান দিয়ে কখনও স্থানীয় রাজনীতির কথা বলে তিনি পাহাড়ের পাশে আছেন বোঝাতে চান মমতা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here