দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ  ফের ভূমিকম্প। এই নিয়ে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে তিনবার কেঁপে উঠল তুরস্ক। কম্পন অনুভূত হয় মধ্য তুরস্কে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। মধ্য তুরস্কে এই ভূমিকম্পের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়িঘর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে আগের দু’টি কম্পন মিলিয়ে এ পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০০০।

তুরস্ক যেন মৃত্যুপুরী৷ পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে সিরিয়াতেও৷ সোমবার ভোরে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ১০১৪৷ শুধুমাত্র তুরস্কেই আহতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার৷ অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা সবমিলিয়ে প্রায় ৬০০৷ সিরিয়ার যে অংশ সে দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেই এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৩৭১৷ বিদ্রোহীদের হাতে থাকা অঞ্চলেও মৃতের সংখ্যা ২১১৷ ফলে তুরস্ক এবং সিরিয়া দুই দেশের মোট মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৪০০ ছাড়িয়েছে৷

এদিন ভোরে তুরস্কের প্রথম যে ভূমিকম্প অনুভব হয় রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৭.৮। এর পরে ৬.৭ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন টের পাওয়া যায়। সেই রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই এদিন দুপুরে কেঁপে ওঠে তুরস্কের খারামানমারাস প্রদেশ। কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই একই প্রদেশেই অনুভূত হল কম্পন।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দু’দেশের প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ ওই দুই দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের তরফেও উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসকদের দল পাঠানো হচ্ছে। এমনকি, সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনও।

১৯৯৯ সালে এমনই এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক৷ সেবার মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছুঁয়েছিল৷ এবারের বিপর্যয়ে শেষ পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই দেখার৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে কত মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, এখনও তার হিসেব নেই৷ ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে, এমন আশঙ্কা প্রবল৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here