দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সংসদের বাজেট অধিবেশনে বুধবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে, কীভাবে বিরোধী দলগুলি তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। বললেন, ‘এখন দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। আর তদন্তকারী সংস্থাকে গালি দেওয়া হচ্ছে। সংসদে তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা হয়েছে। আমি দেখেছি, বিরোধীদের অনেকেই এতে সুরে সুর মেলাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় হালকা মেজাজে বলেন, তিনি ভাবতেন দেশের সাধারণ মানুষ এবং নির্বাচনী ফলাফল বিরোধী দলগুলিকে নিশ্চয়ই একমঞ্চে নিয়ে আসবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং, ইডি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, বিরোধী দলগুলির উচিত সেই কারণে ইডিকে ধন্যবাদ দেওয়া। বললেন, ‘যে কাজ দেশের ভোটাররা করতে পারেননি, তা ইডি করে দেখিয়েছে।’

শুধু ইডিকেই নয়, এমনকী দেশের সেনা এবং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েও যেভাবে বিরোধীরা সমালোচনা করছে, তাতেও আপত্তি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বললেন, ‘যখন সেনা দেশকে গর্বিত করছে, তখন সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। যখন দেশের আর্থিক উন্নতি নিয়ে গোটা বিশ্বে চর্চা হচ্ছে, তখন আরবিআইকে গালি দেওয়া হচ্ছে।’ বিগত ৯ বছর ধরে সংসদে গঠনমূলক সমালোচনার বদলে সবকিছুতেই কেবল সমালোচনা করার জন্য সমালোচনা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে কংগ্রেসের বেহাল দশার কথাও। অতীতে করোনা পরিস্থিতির সময়ে দেশের অবস্থা নিয়ে হাভার্ডে কেস স্টাডি হবে বলে যে সমালোচনার রব তুলেছিল, সেই নিয়েও খোঁচা দিলেন মোদী। বললেন, ‘অতীতে হাভার্ডে একটি গবেষণা হয়েছিল – দ্য রাইজ় অ্যান্ড ডিক্লাইন অব ইন্ডিয়ান কংগ্রেস পার্টি। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে কংগ্রেসের ধ্বংস নিয়ে শুধু হাভার্ড নয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণা হবে। আর যাঁরা কংগ্রেসকে ডোবাবেন, তাঁদের নিয়েও গবেষণা হবে।’

এদিন আদানি নিয়ে কোনও অভিযোগের জবাব দিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । মানলেন না সংসদের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্কে জবাবি ভাষণ দেন বুধবার। বিরোধীদের দাবি প্রধানমন্ত্রীকে আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে হবে। জানাতে হবে আদানির সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক।

মোদী দীঘ ভাষণে আদানির প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি। প্রসঙ্গ এড়িয়ে শুধু বলেছেন, সব মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা, ঝুটা অভিযোগ। তবে দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসরে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪—কগ্রেসের নেতত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দশ বছর ছিল স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দশক। নয় সাল ধরে আমাকে শুধু গাল শুনতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের সরকারের সময়ে কয়লা, মোবাইলের টু-জি কেলেঙ্কারি, কমনওয়েলথ গেম দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন। মোদী বলেন, কংগ্রেসের সময়ে সব সম্ভাবনাই দুর্নীতির বোঝায় পরিণত হয়। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস জমানার দুর্নীতি, কুশাসন, অনুন্নয়নের অভিযোগ করেন। বলেন, আতঙ্কবাদের বিপদ থেকে তাঁর সরকার দেশকে রক্ষা করেছে।

বলেন, বিরোধীদের কোনও ইচতিবাচক কথা নেই। তারা শুধু সমালোচনা করে। ভোটে হেরে গেলে বলে ইভিএম খারাপ। আদালতে হেরে সুপ্রিম কোর্টকে গাল দেয়। সেনার সাফল্য নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের ঐক্য শুধু টিভির পর্দায়। সেখানে তারা সরকারের সমালোচনায় একজোট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here