দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়া। সোমবার সকালের এই ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণ অংশ। তুরস্কের দক্ষিণাংশে সিরিয়া সীমান্তের কাছে পর পর তিনটি ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার ওই এলাকা। ইতিমধ্যেই ১১ হাজারেরও বেশি জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিকম্পের জেরে। এর মধ্যে তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি জনের। 

এরমধ্যেই জানা গেল, একজন ভারতীয় নিখোঁজ। এছাড়াও অন্ততপক্ষে ১০ জন তুরস্কের প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে পড়েছেন। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।

এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সঞ্জয় ভার্মা বলেন, “অন্তত ১০জন ভারতীয় নাগরিক তুরস্কের প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে রয়েছেন। তবে প্রত্যেকেই আপাতত নিরাপদে আছেন। তবে ওই দেশে কাজের সূত্রে যাওয়া একজন ভারতীয় নাগরিকের খোঁজ মিলছে না। আমরা ওঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

এর আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেনস তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়াতেও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকেও ওই সিরিয়া ও তুরস্কে ত্রাণ এসে পৌঁছেছে। তবে ওই দুই দেশে ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। রোজই মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এই প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার জেরে গৃহহীন হয়ে হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তুরস্কে এখনও শীত রয়েছে। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে ত্রাণ শিবিরে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে গৃহহীন মানুষদের।

মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, “তুরস্কে প্রায় ৩ হাজার জন ভারতীয় নাগরিক বসবাস করেন। ইতিমধ্যে সহায়তা চেয়ে ৭৫টি ফোন কল এসেছে মন্ত্রকের কাছে। উল্লেখ্য, সোমবার সে দেশে একের পর এক ভূমিকম্পের পর মঙ্গলবারই ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত সরকার। ‘অপারেশন দোস্ত’-এ শামিল হয়ে বন্ধু দেশ তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ওষুধপত্র এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়। উদ্ধারকারী দলও পাঠিয়েছে ভারত।

বিদেশমন্ত্রকের তরফেই আরও বলা হয়েছে যে, বর্তমানে তুরস্কের আবহাওয়া খুবই খারাপ। তবে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স জোরকদমে কাজ করছে। আগামী ১৫দিন ধরে টানা উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত আছে এনডিআরএফ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here