১০ বছর পার। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন হয় এক ছাত্রী। কবে? ২০১৩ সালের ৭ জুন। সেই ঘটনার কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্যে।

দেশের সময়, কলকাতা: ২০১৩ থেকে ২০২৩। দশ বছর অতিক্রান্ত। অবশেষে শুক্রবার বারাসতের কামদুনি গণধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

ঘটনার আড়াই বছরের মাথায় ৬জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষমা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। ২জনের ফাঁসির নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। সাজা মুকুবের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা।

আজ শুক্রবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। তবে ২০১৬ সালে আদালতের রায় শোনার পরই নিহত ছাত্রীর মা ও ভাই জানিয়েছিলেন, তাঁরা চান অভিযুক্তদের সকলের ফাঁসি হোক।

২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনির বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি। অভিযোগ, বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে রাস্তা থেকে জোর করে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় ন’জন দুষ্কৃতী।

সেখানেই দফায় দফায় চলে গণধর্ষণ। এমনকী নির্যাতনের পরে ছাত্রীটিকে ভেড়িতে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। এদিকে বাড়ির মেয়ের খোঁজে এলাকার লোকজনকে নিয়ে বেরিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে আট বিঘে ভেড়ি অঞ্চলে একটি পাঁচিলের পাশে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার-আন্দোলন শুরু হয়। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। তদন্তভার হাতে নিয়ে সিআইডি অভিযুক্ত আট জনকে গ্রেফতার করে। ওই মামলায় ২০১৬ সালে ছয় জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত।

দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলাম।
সইফুল, আনসার ও আমিনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। বাকি চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।

দোষী সাব্যস্তদের সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা উঠেছিল। বিগত প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলছে শুনানি। ২৪শে জুলাই বিচারপতি বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়ে গেলেও রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। এই মামলা সংক্রান্ত কিছু রিপোর্টও জমা পড়ে হাইকোর্টে। শুক্রবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here