দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:‌ বাজি পোড়ানো নিয়ে বিধি নিষেধ অনেক। আদালত থেকে প্রশাসন, সব জায়গা থেকেই এসেছে নির্দেশিকা। পরিবেশবিদরাও বারবার বারণ করেছেন। চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন। এত কিছুর পরেও কিন্তু সেই বিধির ফাঁক গলে বাজি পোড়ানো চলছে। তাতে বিপদও হচ্ছে। আবার এ কথাও ঠিক, যে বছরে এই একটাই দিন। মন খুলে আনন্দ, হুল্লোড়, আলো, রোশনাই, বাজি পোড়ানো। সব বন্ধ করে দিলেও তো চলে না। যদি একান্তই পোড়াতে হয়, কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন। আর চোখটাকে বাঁচিয়ে রাখুন।

কীভাবে?‌ সেই পরামর্শ দিলেন বারাসাত সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত ডা.‌ শর্মীষ্ঠা দত্ত,(বিধান নগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল)। 

• আগুনের ফুলকি হঠাৎ চোখে এসে লাগলে পরিষ্কার ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। নয়তো বরফ দিয়ে কমপ্রেস করুন। ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

• পারলে চোখে চশমা পরে বাজি পোড়ান। অনেকেই মাটির পাত্রের নীচে বোম রেখে ফাটিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে পাত্র টুকরো টুকরো হয় তা এসে চোখে লাগে। অনেক সময় বাজিতে আগুন দেওয়ার পরেও দেখা যায় পুড়ছে না। তখন অনেকেই কাছে গিয়ে তা দেখার চেষ্টা করেন। সে সময়ই ঘটে বিপদ। বিস্ফোরণ ঘটে বাজির অংশ ছিটকে এসে লাগে চোখে। তাই সাবধান।

• বেশি শব্দের জন্য কাচ বা টিনের কৌটোয় বাজি পোড়াবেন না। এতে চিরতরে আপনার চোখটাই যেতে পারে। • কন্টাক্ট লেনস ব্যবহার করেন?‌ বাজি পোড়ানো বা দেখার সময় তা না করাই ভালো।

• চোখে বাজি এসে লাগলে চোখ ঘষবেন না। চোখে হাত দেবেন না। হলুদ বা নারকেল তেলও লাগাবেন না। এতে চোখের আরও ক্ষতি হয়। বরং চিকিৎসকের কাছে যান। তার আগে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। • বাজি পোড়ানোর পর হাত খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। বাজির রাসায়নিক হাতে লেগে থাকে। তা চোখে গেলে বিপদ। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here