দেশের সময় কলকাতা প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গাঙ্গুলি সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্য়মিকের কৃতি তালিকা প্রকাশ করেন। মোট ৯ লক্ষ ১২ হাজার ৫৯৮ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। মোট ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করেছে।  প্রথম দশজনের তালিকায় রয়েছেন ৫৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৮ জন, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ৭ জন, পূর্ব বর্ধমান থেকে ৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭ জন, বাঁকুড়া থেকে ৪ জন, বীরভূম থেকে ৪ জন, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৪ জন,  হাওড়া থেকে ১ জন, কলকাতা থেকে ১ জন, পুরুলিয়া থেকে ১ জন, মালদা থেকে ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, কোচবিহার থেকে ২ জন রয়েছে।

মাধ্যমিকে প্রথম স্থান-
এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের চন্দ্রচূড় সেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে চন্দ্রচূড়।

দ্বিতীয় স্থান-
দ্বিতীয় হয়েছেন পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। ৯৮.৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।

তৃতীয় স্থান-
তৃতীয় হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূম থেকে পুস্পিতা বাসুরি, নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট স্কুল, ইলমবাজার। নৈঋত রঞ্জন পাল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।

চতুর্থ স্থান-
চতুর্থ হয়েছে তপোজ্যোতি মণ্ডল, হুগলি কামারপুকুর রামকৃ্ষ্ণ মিশন।

পঞ্চম স্থান-
পঞ্চম হয়েছে অর্ঘ্যদীপ বসাক, পারুলডাঙা নসরতপুর হাইস্কুল, পূর্ব বর্ধমান।

ষষ্ঠ স্থান-
ষষ্ঠ হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাই স্কুলের কৃষাণু সাহা।

মালদহের মহম্মদ সাহারুদ্দিন আলি, মোহামপুর এইচএসএসবি হাইস্কুল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কৌস্তভ সাহু। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে অলিভ গায়েন। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্য়ালয়।

সপ্তম স্থান- 
কোচবিহারের আসিফ কামাল। মাথাভাঙা হাইস্কুল।
দক্ষিণ দিনাজপুরের আবৃত্তি ঘটক। বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুল
অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুল
সাত্যদা দে। বালুরঘাট হাইস্কুল

বীরভূমের আরত্রিক শ। সরোজিনী দেবী শিশু মন্দির।
পূর্ব মেদিনীপুরের সুপম কুমার রায়। জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুল
পূর্ব মেদিনীপুরের কৌস্তভ মল। বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম হাইস্কুল
আলেখ্য মাইতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন
পূর্ব বর্ধমান থেকে ইন্দ্রানী চক্রবর্তী। বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য।  বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল

অষ্টম স্থান-
পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে তনুকা পাল, মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুল
নদীয়া থেকে ঋদ্ধি মল্লিক। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল।

নবম স্থান-
দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে রৌণক ঘোষ। বালুরঘাট হাইস্কুল।

দশম স্থান-
শুভ্রকান্তি জানা, নরেন্দ্রপুর

মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড় ডাক্তার হতে চায়। সংবাদমাধ্যমকে সে জানিয়েছে, বাঁধাধরা নিয়মে কখনওই পড়েনি। তবে নিয়ম করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। চন্দ্রচূড়ের বাবা-মা বলেছেন, ছেলে পরীক্ষায় ভাল ফল করবে জানাই ছিল, তবে প্রথম দশে আসবে সেটা ভাবেননি। ছেলেকে নিয়ে গর্বিত বাবা সুশান্ত সেন জানিয়েছেন, বড় হয়ে ডাক্তার হবে চন্দ্রচূড়। এখনও অনেকটা পথ বাকি। আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে চন্দ্রচূড়কে।

মাধ্যমিকে প্রথম দশে জেলার ছাত্রছাত্রীদেরই জয়জয়কার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here