দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাজি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আদালত। এবছরের কালীপুজোতেও বাজি পোড়ানো যাবে না বললেই চলে। কিন্তু বাজির তান্ডব কি হাইকোর্টের এই রায়ে আদৌ বন্ধ করা যাবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ সাধারণ বাজির মার্কেট এখন দখল করে নিয়েছে ইলেকট্রনিক বাজি।

সাধারণ বাজির বিকল্প হিসেবে এখন মার্কেট ছেয়ে গেছে ইলেকট্রনিক বাজিতে। লোকজন দেদার কিনছেনও সেই বাজি। এমনকি অনলাইনেও এই ইলেকট্রনিক বাজি সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে দলে দলে বিকল্পের দিকে ঝুঁকছেন বাজি-প্রিয় সাধারণ মানুষ।

কেমন এই ইলেকট্রনিক বাজি? এগুলি এক এক ধরণের ডিভাইস, যা সাধারণ বাজির মতোই আলো আর শব্দের নকল করতে পারে। যে কোনও ধরণের বাজির শব্দ পাওয়া যাবে এই ইলেকট্রনিক বাজি থেকে। সঙ্গে থাকবে আলোর ফুলঝুরি। রিমোটের মাধ্যমেও একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

বাজি নিষিদ্ধ করার পিছনে অন্যতম যুক্তি ছিল দূষণ। বাজি থেকে যে বায়ু, শব্দ দূষণ হয় তা যে কোনও অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে ক্ষতিকর। কোভিড আবহে দীপাবলির এই হুল্লোড় তাই অসহনীয়। কিন্তু ইলেকট্রনিক বাজি যদি সাধারণ বাজির জায়গায় ব্যবহৃত হতে থাকে, তবে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এতে কিছু ছোট ছোট পড থাকে, যা তারের সাহায্যে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত করা থাকে। এই সমস্ত পডের মধ্যেই লাগানো থাকে এলইডি লাইট। বিদ্যুতের সঙ্গে ডিভাইস কানেক্ট করলেই পডের মধ্যেকার হাইভোল্টেজ জেনারেটরগুলি আলোর ফুলকি বের করতে থাকবে। সঙ্গে হবে কড়কড় আওয়াজ, যা বাজির মতোই শোনায়। আসল বাজির চেয়ে তা কম কিছু নয়। রিমোট দিয়ে এই ডিভাইসের আলো বা ফুলকির ব্যবধান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজির তাণ্ডব তাই কতটা ঠেকানো যাবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here