লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৯.৩ শতাংশ ভোট পড়ল। পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগড় এবং মণিপুরে ৯টা পর্যন্ত সব থেকে বেশি ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মহারাষ্ট্রে সব থেকে কম মাত্র ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম ২ ঘণ্টায় ভোট পড়েছিল ১০ শতাংশ। রাজ্যের রায়গঞ্জে ১৬.৬১, দার্জিলিংয়ে ১৪.৭৬ এবং বালুরঘাটে ১৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে প্রথম ২ ঘণ্টায়।

শুক্রবার রাজ্যের তিন আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দার্জিলিং, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ। দার্জিলিঙে ১,৯৯৯টি বুথে, রায়গঞ্জে ১,৭৩০টি বুথে এবং বালুরঘাটে ১,৫৬৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল সকাল ভোট দিয়ে দিয়েছেন দার্জিলিঙের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামা।

তীব্র গরমের কারণে সাতসকাল থেকে রাজ্যের বুথে বুথে ভোটারদের ভিড়। বাংলায় দ্বিতীয় দফার ভোট নির্বিঘ্নেই শুরু হয়েছে। একাধিক বুথে আবার পুরুষ ভোটারদের থেকে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

দার্জিলিঙে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৪৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৩৫। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬৮।
রায়গঞ্জ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২৪৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৩৭ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩২০।

বালুরঘাটে ভোট দেওয়ার কথা মোট ১৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৬৬ জনের। ভোটারদের মধ্যে ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ২১৭ জন পুরুষ এবং ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৬৮ জন মহিলা।

এই দফায় বাংলায় থাকছে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৭৩ কোম্পানি, দার্জিলিং জেলায় ৫১ কোম্পানি, ইসলামপুর পুলিশ জেলায় ৫১, কালিম্পংয়ে ১৬, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় ৬০ এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে ২১ কোম্পানি বাহিনী থাকবে।

অর্থাৎ, দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ লোকসভায় মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ১১১ কোম্পানি, দার্জিলিং লোকসভায় থাকছে ৮৮ কোম্পানি ও বালুরঘাট লোকসভায় থাকছে ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

দেশে যে ৮৯টি আসনে ভোট হতে চলেছে তারমধ্যে ৫৫টি এখন বিজেপির দখলে। কংগ্রেসের হাতে আছে ২০টি আসন। বাকিগুলি ছোট দল এবং নির্দলদের দখলে রয়েছে। বিজেপির দখলে থাকা ৫৫ আসনের মধ্যে বাংলার তিন আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট রয়েছে।

কেরলে লোকসভার ২০টি আসনের মধ্যে গতবার কংগ্রেস ১৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল। সিপিএম পেয়েছিল মাত্র একটি। রাহুলের পাশাপাশি শুক্রবার কংগ্রেস এবং সিপিএমেরও ভাগ্য পরীক্ষা বলা চলে। বিদায়ী লোকসভায় সিপিএমের তিন আসনের একটি কেরল এবং বাকি দুটি তামিলনাড়ু থেকে পায়। আসন বাড়াতে হলে কেরলই তাদের প্রধান ভরসা। অন্যদিকে, কংগ্রেসের কাছেও এদিনের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেরলে দলের ফলের উপর লোকসভা নির্বাচনের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে।

কেরলের পাশের রাজ্য কর্নাটকে আবার উল্টো ফল হয়েছিল কংগ্রেসের। ওই রাজ্যে ২৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র একটিতে। বিজেপি পায় ২২টি আসন। কর্নাটকে তখন ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। এবার কংগ্রেস ওই রাজ্যে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বিজেপির সঙ্গে এবার জোট হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার দল জনতা দল সেকুলারের।

কংগ্রেস এবার জোরদার লড়াই করছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই রাজ্যে দলের আসন বৃদ্ধি হাত শিবির চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে। ২০২৪-এর ভোটে কংগ্রেস আগের দুটি নির্বাচনের ফলকে ছাপিয়ে যেতে পারবে কিনা তা অনেকটাই আজকের ভোটের উপর নির্ভর করছে। সিপিএমের জন্যও দিনটি একই কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার রাজস্থানের বাকি আসনগুলিতে ভোট। মরুরাজ্যে সদ্য ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। যদিও লোকসভা ভোটে তুমুল লড়াই হচ্ছে কংগ্রেস, বিজেপির। গুজ্জর সম্প্রদায়ের ক্ষোভ চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here