দেশের সময়,পেট্রাপোল: দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ৪৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০ টি সোনার বিস্কুট সহ গ্রেপ্তার করলেন এক চোরাকারবারিকে।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান বাজারে এই বিস্কুটের মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন আইসিপি পেট্রাপোল, ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে। পেশায় সে ট্রাক ড্রাইভার বলে পরিচয় দেয়। বাজেয়াপ্ত সোনার মোট মূল্য ২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৬১ টাকা।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জওয়ানরা একটি দল গঠন করেন। তাঁদের কাছে খবর ছিল, ট্রাক চালক সেজে চোরাকারবারি বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করবে।

পাহারায় থাকাকালীন সন্দেহজনক ট্রাক দেখতে পেয়েই সেটিকে থামায় বিএসএফ অনুসন্ধান দল। ট্রাকে করে  বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ আনা হচ্ছিল। তল্লাশি চালাতেই মাছের বাক্সের নিচ থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়।  ট্রাক সমেত চালককে আটক করেন জওয়ানরা।

সূত্রের খবর,বাংলাদেশি ট্রাক আইসিপি পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বিএসএফের অনুসন্ধান দল তল্লাশির জন্য ওই ট্রাকটিকে থামায়। ওই ট্রাকে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ আনা হচ্ছিল। জওয়ানরা পুরো ট্রাকটির নিখুঁত তল্লাশি করে। তখনই মাছের বাক্সের নিচ থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। অবিলম্বে সেই ট্রাক ও সোনাসহ ট্রাক চালককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় চালককে। ওই পাচারকারীর নাম সুশঙ্কর দাস। সে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলে খবর।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ট্রাক চালক জানায়, সে ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছে। সে আরও জানায়, ট্রাকের মালিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম, রয়েস ইন্টারন্যাশনাল, সাতক্ষীরা থেকে এই ট্রাকে মাছ বোঝাই করেছিল। এরপর ভারতে আসার পর এসব মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির সময় তাকে সোনার বিস্কুট সহ আটক করে নেয়। আটক পাচারকারীকে সোনার বিস্কুট ও ট্রাকসহ কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, যে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে বসবাসকারী লোকেদের বিএসএফ-এর ‘সীমা সাথী’ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য দেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর জারি করেছে যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যায়। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সীমান্তে চোরাচালান রুখতে সর্বদা সজাগ রয়েছে বিএসএফ। চোরাচালান সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here