দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার কাঁথিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে এক বিজেপি নেতার ফেসবুক পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছিলেন অভিষেক। বলেছিলেন, “তোর বাপকে গিয়ে বল, বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। কী করবি কর। আয়, হিম্মত আছে?”
এদিন শুভেন্দু বলেন, “যেমন ঝাড় তেমন বাঁশ। একজন এসে মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুই-তোকারি করেছিলেন। আর কালকে ওই ঝাড়েরই বাঁশ কাঁথির কাছে এসে কী ভাষা বলেছে আপনারা শুনেছেন!” তাঁর কথায়, “আমি মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসুদের মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। রাজনৈতিক ভাবে ওদের জবাব দেবই দেবই দেবই।”

এদিন হলদিয়ার সভায় যা বললেন শুভেন্দু:

আজকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে সর্বাধিনায়কদের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে।

সতীশ সামন্ত ১৯৫২ সালে ওড়িশার সঙ্গে লড়াই করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই বন্দরনগরী আদায় করে এনেছিলেন। ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। দু’লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।গত সাড়ে ন’বছর ধরে হলদিয়ায় কিছু করা যায়নি। মাননীয়া কাজ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন।জমি নীতি, শিল্পনীতির জন্য একটা শিল্প পশ্চিম বাংলায় হয়নি।

আমাদের অনেক যন্ত্রণা রয়েছে। কাটমানি, সিন্ডিকেটের যন্ত্রণার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের যন্ত্রণাও সমান।হলদিয়ার ভবিষ্যত আছে। পোর্টের হাতে হাজার হাজার একর জমি আছে। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় করে চললেনএইবন্দরনগরী, শিল্প নগরী আগামী দিনে অনেক সম্ভাবনা তৈরি করবে।

এবারের বাজেট দেখবেন আমেরিকার বাজেটকেও ছাপিয়ে গেছে। রাস্তায় লোকে হাসাহাসি করছে। এই ভোট অন অ্যাকাউন্টের কোনও মূল্য নেই।

নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন বলে (হলদি নদীর উপর) সেতু বানানোর কথা বলেছেন। কিন্তু ওটা জাতীয় জলপথ। কেন্দ্রীয় সরকার, নরেন্দ্র মোদী না চাইলে একটা ইটও গাঁথতে পারবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here