সম্পাদকীয়ঃ–সদ্য পেরিয়ে এলাম আমরা আমাদের ৭২তম স্বাধীনতা দিবস।আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি যথারীতি স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন আমাদের রাষ্ট্রীয় গৌরব গাথা শুনিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীও লালাকেল্লা থেকে ভারতীয়ত্বের গর্বিত বাণি উচ্চারণ করেছেন,সকলকে ভারতীয়ত্বের গর্বে উদ্দিপ্ত হবার আহ্বান জানিয়েছেন।

আমরা সত্যিই সত্যিই গর্বিত হতে চাই,আমাদের দেশের মহানুভবতায় আপ্লুত হতে চাই।আমার দেশ নিয়ে আমার অহঙ্কারকে ছড়িয়ে দিতে চাই বিশ্ব জুড়ে।এ দেশ আমার প্রাণ,এ দেশ আমার রক্তের শিড়া উপশিড়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তাতে কোন সংশয় নেই আমাদের।

আর এ দেশ আমাদের দেশ বলেই এ দেশের নেতা বা রাষ্ট্রকর্তাদের আমরা প্রশ্নও করতে চাই,প্রশ্ন করতে চাই,কেন আমার দেশের মানুষ অভুক্ত থাকে,কেন দেশের অর্দ্ধেকের বেশী মানুষই দারিদ্রের ভারে জর্জরিত?স্বাধীনতার ৭২ বছরেও কেন সবার জন্য পেট ভরা খাবারের নিশ্চয়তা দেওয়া গেল না?এই ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র নেতারা কেন নেবেন না?কেন শুধু অভ্যেস আর গতানুগতিকতার স্রোতে ভেসে যাবেন দেশীয় নেতারা?

৭২ বছর মানে এ দেশের স্বাধীনতা এখন রীতিমত বুড়ো,বৃদ্ধ বয়সেও কেন স্বাধীনতাকে দেখতে হবে,তার দেশের মানুষ এখনও অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অভাবে কাতরাচ্ছে?এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের তো কোন অভাব ছিল না,কেন তা জমা হল মুষ্টিমেয় কিছুজনের হাতে?

এই সময়ে এই প্রশ্নগুলো ওঠা খুব জরুরি,জরুরি কারণ আমাদের স্বাধীনতা কে বা কারা চুরি করে নিয়েছে জানতে হবে।দেশ মানে দেশের মানুষ,তাদের যন্ত্রনা,হাহাকার কষ্টনিয়ে তাদের জীবনের উপস্থিতি,মানুষ বাদ দিয়ে দেশ হয় না হতে পারে না তাই এদেশের মানুষ যে সার্বিকভাবে খারাপ আছেন তার দায় দেশের নেতাদের নিতে হবে।

শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয় এবার দরকার সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে দায় স্বীকারের।এই স্বাধীনতা দিবস পেরিয়ে আসুন আবার আমরা স্বাধীনতার নতুন বর্ণমালা খুলি,পড়াই সব নেতাদের বলি মানুষের জন্য তাদের শোষণ ঘোচাবার জন্য যে স্বাধীনতা এসেছিল তা পিরিয়ে আনতে হবে।আমাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য বাসস্থান ও কর্মের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।শুধু প্রদাগত বা অভ্যেসের ভাষণ অনেক হয়েছে এবার অন্য কিছু হোক।আসুন আমরা আমাদের রাষ্ট্র কর্তাদের পড়াবার চেষ্টা করি স্বীধীনতার নতুন বর্ণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here