দেশের সময়  সন্দেশখালি ভোটের বাংলায় বেনজির ছবি। বারুদের স্তূপে সন্দেশখালি। সরবেড়িয়ায় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতেই মিলেছে অস্ত্র ভাণ্ডার। অপারেশনে এনএসজি। বিস্ফোরকের খোঁজে চলছে অভিযান। মাইন ডিটেক্টর নিয়ে চলছে তল্লাশি। স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে এলাকা খালি করা হচ্ছে। রোবট নামিয়েও চলছে তল্লাশি। 

ভেড়ি ঘেরা সন্দেশখালিতে কোথায় কোথায় লুকোনো আছে বিস্ফোরক, খুঁজে বার করতে কাজ  শুরু করল এনএসজির উন্নত প্রযুক্তির রোবট।

এনএসজির কম্যান্ডোরা এলাকায় পৌঁছেই উন্নত প্রযুক্তির এই রোবটটিকে বিস্ফোরক খোঁজার কাজে লাগায়। হাই ডেনসিটির ক্যামেরা লাগানো রয়েছে রোবটটিতে। আলপথ ধরে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আবু তালেবের বাড়ির দিকে। বড় বিস্ফোরণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় গোটা এলাকা খালি করে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপরেই নতুন করে তল্লাশি শুরু করে এনএসজির বম্ব ডিসপোজাল শাখার কর্মীরা। শুক্রবার সকালে সিবিআইয়ের তল্লাশিতে আবু তালেবের বাড়ির মেঝে খুঁড়ে একাধিক অত্যাধুনিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। মেলে অসংখ্য বোমা। মেঝে খুঁড়ে একটি বাক্সেরও হদিশ মেলে। এই বাক্সে প্রচুর বিস্ফোরক রয়েছে বলে আশঙ্কা করেই এনএসজিকে খবর দেওয়া হয়।

বেলা গড়াতেই পৌঁছয় এনএসজির টিম। ঘটনাস্থলে রাতারাতি কন্ট্রোল রুম তৈরি করে সেখান থেকে রোবট দিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনএসজির টিম। ক্যামেরা লাগানো এই রোবটের মাধ্যমে দূর থেকেই বিস্ফোরকের হদিশ পাওয়া সম্ভব। রোবটের আর্ম তল্লাশি চালানোয় বিপদের আশঙ্কাও কম।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা NSG, ভারত সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট। দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের যে কোনও কার্যকলাপকে প্রতিহত করার জন্য ১৯৮৪ সালে এই বাহিনী তৈরি হয়। সেই NSG কম্যান্ডো বাহিনীকে বাংলায় ব্যবহার করার ঘটনা আকর্যট নজিরবিহীন। সন্দেশখালি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে বলেই এই NSG কম্যান্ডোদের কাজে লাগানো হচ্ছে বলেই ধারণা।

আজ সকালেই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, আগরহাটি মুল্লিকপাড়ার একটি গ্রামে সিবিআইয়ের একটি টিম যায়। সন্দেশখালির ঘটনায় তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। সেই কারণেই, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সকাল থেকেই সেই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বাড়ির মেঝেতে অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে বলে খবর পান তাঁরা। এরপর সেখানে তল্লাশি শুরু করে। প্রাথমিকভাবে, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের এনে সেখানে বাড়িতে সমস্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাড়ির মেঝেতে বাক্স বন্দি বিস্ফোরকের সন্ধান পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেগুলিকে উদ্ধারের জন্য NSG কম্যান্ডো ডাকা হয় সাহায্যের জন্য।

বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলে, ‘পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে রাজ্য কেন অবৈধ অস্ত্রের বিশাল মজুত দেখছে? এটা বিপজ্জনক। NSG মোতায়েন করা হয়েছে কিন্তু WB সরকার সিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করা থেকে বিরত রাখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here