ডেথ অডিট কেন হচ্ছে, নিশ্চয়ই লাশ লুকানো হচ্ছে…..অকর্মণ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন!!

এম্বুলেন্স আসছে না….অকর্মণ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন!!

বেড পাচ্ছিনা….অকর্মণ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন!!

রোগী ফেরানো হচ্ছে….অকর্মণ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন!!

পাশাপাশি….

“আমরা আমাদের প্রতিনিধিদের থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এবং আপনার বিষয়ে জেনেছি। শুধু তাই নয়, করোনার মতো এমন গুরুতর পরিস্থিতিতেও আপনাদের মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রীর দারুণ কৃতিত্বের বিষয়েও আমরা জানতে পেরেছি। মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে চলা রাজ্য সরকারের অধীনে রাজ্যবাসী নিরাপদে রয়েছেন। আপনাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রইল। আর আপনাদের প্রশংসার প্রতীক হিসেবে শংসাপত্র তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।”

প্রথমটি.. রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাদের ? মিডিয়া ও বিরোধীদের।

দ্বিতীয়টি… রাজ্য সরকারের প্রশংসা। কাদের ? রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা শান্তি পরিষদের, যারা বিশ্বজুড়ে সার্ভে করে কোথায় কে কেমন কাজ করছে সাধারণ মানুষের জন্য।

করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই একের পর এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ ও একশ্রেণির মিডিয়ার সমালোচনা তাতে থামেনি। অথচ সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ অনুমোদিত সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোসিয়েশন করোনা প্রতিরোধে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাজের ও মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
এ যেন বিরোধীদের নিন্দামন্দের একটা যোগ্য জবাব।

রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে গত ১৭ই অগাস্ট রাজ্য সরকারের একটি দপ্তরে পাঠানো চিঠি মারফৎ একথা জানা গিয়েছে। বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হলেও রাষ্ট্রসংঘের তরফে পাঠানো ‘সিম্বল অফ গ্রাটিটিউড’ শংসাপত্রে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের কাজের মুক্ত কণ্ঠে প্রশংসা করা হয়েছে।

এছাড়াও সম্প্রতি নয়াদিল্লির ৬৬তম স্কচ সামিটে সব রাজ্যকে পিছনে ফেলে রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন অভিযোগ সেল পেয়েছে প্লাটিনাম পদক। এতে প্রমাণ হয় রাজ্য সরকার মানুষের অভিযোগ শোনেন ও সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেন। কিন্তু শুধুই অভিযোগ করতে অভ্যস্ত বিরোধীরা তাদের স্বভাব বদলান নি।

আমার মনে পড়ছে ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি’ নামে প্রবাদটির কথা।

বিরোধী দল ও একশ্রেণির মিডিয়ার নিয়মিত ঘন্টাখানেক কুৎসায় এখন রাজ্যবাসী অভ্যস্ত। এটাই যেন তাদের একমাত্র কাজ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জনদরদী ভাবমূর্তি তাতে ম্লান হয়নি। আমার অবাক লাগে এইরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে যখন প্রতিদিন রাজ্যের বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, জন প্রতিনিধি, পুলিশ তখনও তাদের স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি। সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করা মুখ্যমন্ত্রী ও তার সহযোদ্ধাদের নিন্দায় মেতেছেন কিছু বিবৃতিসর্বস্ব রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়াপণ্ডিত। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি!

দেশের আর কোন রাজ্যে বিরোধী দল ও মিডিয়ার ভূমিকা এত দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়।

রাজ্যে মানুষের ভয়কে পুঁজি করে ব্যবসা করছে কিছু রাজনৈতিক দল ও একশ্রেণির মিডিয়া।

কঠিন পরিস্থিতিতে যেখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন সেখানে তারা পরিবেশন করছেন ভয় ধরানো অতিরঞ্জিত খবর। পরিকল্পিতভাবে প্যানিক তৈরি করা হচ্ছে। কিছু সাধারণ মানুষ প্রকৃত অবস্থা না জেনে এই অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন। তাদের মনে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। মৃত্যু, মানুষের দুরাবস্থা ও অতিমারি নিয়ে লোকখ্যাপানো রাজনীতির যেন এক লাগামছাড়া প্রতিযোগিতা চলছে। আমার প্রশ্ন, আমরা যদি সবসময় ভয়ে থাকি, গুজবে প্রভাবিত হই তাহলে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করবো কী করে? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি খুব পরিকল্পিত উপায়ে মানুষের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এই প্রচার চালানো হচ্ছে।

সাংবাদিকতার সবরকম রীতিনীতি লঙ্ঘন করে আতঙ্ক নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে একধরণের মিডিয়া হাইপ।

নিন্দা ও কুৎসার রাজনীতি মানুষকে অন্ধ করে দেয়। রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলগুলির বিরোধিতা করার স্বভাব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সরকারের কোনো ভালো কাজের তারা প্রশংসা করবে না এমন পণ নিয়েছে। এতে যে ওদেরই রাজনৈতিক মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে এটা বোঝার বোধটুকুও হারিয়ে গিয়েছে। যে কারণেই রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদ করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের নামে রাজ্যে লাগাতার নানাধরণের অশান্তি বাধানো ছাড়া তাদের আর কোন কাজ নেই।

মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেতাদের নবান্নে করোনা মোকাবিলা নিয়ে যৌথ বৈঠকে ডাকলেন। কিন্তু তারা এর প্রতিদান দিলেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়ে! এই দেউলিয়া রাজনীতির জন্যই রাজ্যে আজ তারা অস্তিত্বহীন।

আর সাধারণ মানুষকেও এটা বুঝতে হবে আমরা একটা মহামারী অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছি, শুধু আমরা নয় গোটা বিশ্বই চলছে। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে বর্তমান সময়টার অবস্থা একটু খেয়াল রাখুন। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন, যা আজ পাঁচমাস ধরে সরকার, প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে বলে চলছে। কিন্তু আপনারা নিজেরা বিচার করুন আপনারা কতটা সচেতন।

জাপানে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে,

মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে চলা সরকারের জন্য রাজ্যবাসী নিরাপদে রয়েছেন। অথচ মানুষের সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ না থাকা রাজনীতিবিদরা মানুষের মনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এদের নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। নিজেরা হতাশ বলে এরা কোনকিছুতেই আশার আলো দেখতে পান না।

এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্বের মুকুটে জুড়ে দিল এক নতুন পালক। রাষ্ট্রসংঘের সন্মান বিরোধীদের অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here