সোমা দেবনাথ,কলকাতা: আকাশে উড়বে ড্রোন। থাকবে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। হাজারখানেক নিরাপত্তারক্ষী। সিসি ক্যামেরা আর ওয়াকিটকি তো আছেই। এটা কোন, বড় পুজো, বড় ম্যাচ, কিংবা নামি সেলিব্রেটির পাবলিক শো নয়, এই আয়োজন বসন্ত উৎসবের।

আজ সোমবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরকদমে চলেছে বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এবারে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট কড়াকড়ি করছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুলিশ প্রশাসন। এমন ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে, তা দেখে অনেকেরই মনে হতে পারে, এ যেন কলকাতার শ্রীভূমি বা সুরুচি সঙ্ঘের দুর্গা পুজো। আবার অনন্দর মহল দেখে মনে হতে পারে কোন বনেদি বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণ ক্রাউড কন্ট্রোল এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ঠিক যে ভাবে দুর্গাপুজোর সময় নানা আয়োজন করা হয়, এবারে রবীন্দ্রভারতীতেও কার্যত সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাঁশের ব্যারিকেড, নিরাপত্তা রক্ষী, ড্রোন, পুলিশ, মেডিক্যাল ক্যাম্প, আসা-যাওয়ার আলাদা পথ- সবই থাকছে।

প্রত্যেক বছরই রবীন্দ্রভারতীতে বসন্ত উৎসবে মানুষের ভিড় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। স্থান সংকুলান এবং ভিড়ের হাত থেকে রবীন্দ্রনাথের বাড়িকে বাঁচাতে গত বছর থেকেই এই অনুষ্ঠান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে বিটি রোড ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। এ বছরের বসন্ত উৎসবের দিন ৫ই মার্চ ,দুপুর ২টোয় সূচনা হবে বসন্ত উৎসবের।প্রতি বছরের মত এবারেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের “মরকতকুজ্ঞে” অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব। চলছে তার প্রস্তুতি।
কয়েক দিন আগের থেকেই শুরু হয় অনুষ্ঠানের রিহার্সাল।সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী দের সাথে সমস্ত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষীকা সকলেই উপস্থিত থাকে এই অনুশীলনে।

অনুশীলন চলছে “উদয়শঙ্কর কক্ষে”৷

নাশকতা এবং অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

তাতে কলকাতা পুলিশের সাহায্য যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্র সংসদও নানা পদক্ষেপ করছে৷

রবীন্দ্র সংগীত বিভাগের এইচ ও ডি – রাজ্যশ্রী ঘোষ জানাচ্ছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অনুষ্ঠানের জন্য শতাধিক নিরাপত্তা রক্ষী যেমন থাকছেন, তেমনই প্রায় স্বেচ্ছাসেবককে তৈরি রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে থাকছে ওয়াকিটকি যাতে দ্রুত কোনও ঘটনা ঘটলে কন্ট্রোল রুমে জানানো যায়।পাশাপাশি ড্রোনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। যাতে উপর থেকেও নজরদাড়ি চালানো যায়। ক্যাম্পাসের উচু ভবনগুলির ছাদের উপর থেকেও নজর রাখা হবে।’

আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে অন্তত এক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা স্থানীয় দুটি থানা কাশীপুর ও সিঁথি এবং ডিসি নর্থের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কলকাতা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’

কলেজ ছাত্রী- তৃষা সরকার ,সুছন্দা চ্যাটার্জী ,সিঞ্জীনী চক্রবর্তীদের কথায় আমরা সারাটা বছর তাকিয়ে থাকি এই দিনটির জন্য,এই দোল উৎসবটা আমাদের কাছে আরেকটা দূর্গোৎসবের মত৷ দেখুন ভিডিও:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here