দেশের সময় , বনগাঁ: বাংলায় এনআরসি এবং সিএএ চালুর পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মসূচিতে বনগাঁয় এসে তিনি এই মতামত প্রকাশ করেন । পাশাপাশি আরও বলেন, ‘এটা দলের কথা নয়, আমার ব্যক্তিগত কথা, এনআরসি -টা দরকার। যোগী আদিত্যনাথজি আর হেমন্ত বিশ্বশর্মা যা যা করছেন, বাংলাতে সেটা দরকার। নইলে এই বাংলাটা বাংলাদেশ-টু (দ্বিতীয় বাংলাদেশ) হবে।’’ দেখুন ভিডিও:

বৃহপতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে বনগাঁর ‌মতিগঞ্জে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল সহ কর্মী সমর্থকেরা।

এদিন বনগাঁ মতিগঞ্জে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সম্বর্ধনা সভায় শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুর না থাকলে আপনাদেরকে সব ধর্মান্তরিত করে নিয়েছিল, ইতিহাস বলে। সেইখান থেকেই তো মতুয়ার সৃষ্টি।’’ এদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাকরণের কাজ শেষ হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকরের পথে হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার।

এদিন শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, একুশের ‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী সুস্থ পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে, হুইল চেয়ারে ঘুড়ে বেড়ালেন। ভালো কাজ করলে আমি প্রশংসা করি। কিন্তু দিদিমনি একটি ভালো কাজও করেন নি। যারজন্য আমি প্রশংসা করতে পারছি না। পশ্চিমবঙ্গে ‘আজ, কাল বা পরশু’ বিজেপি-র সরকার হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদীর নেতৃত্বে আমরা ভালো আছি। ইতিমধ্যেই দেশের ৫০ কোটির বেশি মানুষকে তিনি ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। পৃথিবীর কোনও দেশ যা করতে পারে নি।’‌

এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি কর্মীদের উপর যা আক্রমণ হয়েছে তা স্বাধীনতার পরে এই প্রথম । এখনও পর্যন্ত ৫১ জন শহিদ হয়েছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আজকের দিন টি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে স্মরণীয় দিন।’’

শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন, ‘রাজ্যের ২ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে ৭৭ জন বিধায়ককে নির্বাচিত করেছেন। বিরোধী দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী। একদিন আসবেই, যখন এই রাজ্যের ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। নির্বাচন পরবর্তি হিংসার বলি হয়েছেন ৫১ জন বিজেপি কর্মী। অত্যাচারিত হয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে একদিন সঠিক বিচার পাবেন অত্যাচারিতরা। বিচার ব্যবস্থার উপর সেই আস্থা, ভরসা আমাদের আছে।’‌

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, মানবতার জয় গণতন্ত্রের জয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল। আমাদের সংবিধানের মূল স্তম্ভ বিচারব্যবস্থা এগিয়ে এসেছে মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here