দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক : আফগানিস্তান যেন আগামী দিনে সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারের কেন্দ্র না হয়ে ওঠে।” বৃহস্পতিবার ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ওই গোষ্ঠীতে আছে পাঁচটি দেশ। সেগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

ব্রিকসের ভারচুয়াল সম্মেলনে মোদী বলেন, আফগানিস্তান যেন প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে বিপজ্জনক না হয়ে ওঠে। সেখানে যেন জঙ্গিরা ঘাঁটি না বানাতে পারে। সেখান থেকে যেন অন্যান্য দেশে মাদক পাচার না হয়। পরে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মানুষ কয়েক দশক ধরে লড়াই করছেন। নিজেদের মতো করে দেশকে গড়ে তোলার অধিকার তাঁদের আছে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা চলে আসায় নতুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান কীভাবে আন্তর্জাতিক মহলকে বা প্রতিবেশী দেশগুলিকে প্রভাবিত করবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।” পরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।


মোদী জানান, ব্রিকস গোষ্ঠী একটি সন্ত্রাস দমন অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ওই গোষ্ঠী আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে। ২০১৬ সালের পরে এবার ফের ব্রিকসের বৈঠকে সভাপতি হয়েছেন মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসেনারো।

ব্রিকসে উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানদের বড় অংশই তালিবানকে নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে আফগানিস্তানের নানা প্রান্ত থেকে তাদের অত্যাচারের খবর আসছে।

মঙ্গলবার তারা মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে। সেখানে কোনও মহিলা স্থান পাননি। এই লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে বুধবার বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। লাঠিপেটা করে ও চাবুক মেরে তাঁদের হটিয়ে দেয় তালিবান।

একটি আন্তর্জাতিক চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদী মহিলারা স্লোগান দিচ্ছেন, আফগান নারী জিন্দাবাদ। কয়েকজনের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, কোনও সরকারই মহিলাদের অগ্রাহ্য করতে পারবে না , ‘আমরা স্বাধীনতার গান গাই।

বিক্ষোভে উপস্থিত এক মহিলা বলেন, নতুন সরকারে মহিলাদের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। তিনি জানান, তাঁদের চাবুক মারা হয়েছে। তালিবান তাঁদের বলেছে, তোমরা বাড়ি ফিরে যাও। নতুন সরকারকে মেনে নাও।

বিক্ষোভকারিণীর বক্তব্য, যে সরকারে আমাদের কোনও প্রতিনিধি নেই, সেই সরকারকে আমরা মানব কেন? মহিলার হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘যে মন্ত্রিসভায় কোনও মহিলা নেই, তা কখনও সফল হতে পারে না। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এসে তালিবান বলেছিল, তারা মহিলাদের সমান অধিকার দেবে। সেই প্রতিশ্রুতি তাদের রক্ষা করা উচিত। দিবা ফারহামান্দ নামে অপর এক আন্দোলনকারিণী বলেন, আগে মহিলারা সবকিছু মেনে নিতেন। কিন্তু আমরা তাঁদের মতো নই।

আগামী দিনেও আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
মহিলাদের বিক্ষোভের ছবি তুলতে আসা সাংবাদিকরাও তালিবানের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। আফগানিস্তানের আরও কয়েকটি অঞ্চল থেকে সাংবাদিকদের ওপরে নিপীড়নের খবর আসছে। সম্প্রতি দুই সাংবাদিকের উপর তালিবানের নৃশংস অত্যাচারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

আফগানদের নানা পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হোক। ওই দেশে ফিরে আসুক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আইনের শাসন। বৃহস্পতিবার ব্রিকস সম্মেলনের মঞ্চ থেকে এমনই আহ্বান জানানো হল। একইসঙ্গে ব্রিকসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া উচিত। বিশেষত নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন।

ব্রিকস গোষ্ঠীর দেশগুলি মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় বিশেষ জোর দিতে হবে। আফগানিস্তানে যাতে জঙ্গিরা না ঘাঁটি বানাতে পারে, নজর রাখতে হবে সেদিকেও।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্রিকস গোষ্ঠী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে, তারা যাতে কোথাও নিরাপদ আশ্রয় না পায়, কোনও আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক যাতে তাদের অর্থ না জোগাতে পারে, সেজন্যও চেষ্টা করা হবে।”

ব্রিকস গোষ্ঠীতে আছে পাঁচটি দেশ। সেগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ব্রিকসের ভারচুয়াল সম্মেলনে মোদী বলেন, “আফগানিস্তান যেন প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে বিপজ্জনক না হয়ে ওঠে। সেখানে যেন জঙ্গিরা ঘাঁটি না বানাতে পারে। সেখান থেকে যেন অন্যান্য দেশে মাদক পাচার না হয়। পরে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মানুষ কয়েক দশক ধরে লড়াই করছেন। নিজেদের মতো করে দেশকে গড়ে তোলার অধিকার তাঁদের আছে।”

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, “আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা চলে আসায় নতুন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান কীভাবে আন্তর্জাতিক মহলকে বা প্রতিবেশী দেশগুলিকে প্রভাবিত করবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।” পরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এর মধ্যে আফগানিস্তানের নানা প্রান্ত থেকে তাদের অত্যাচারের খবর আসছে। মঙ্গলবার তারা মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে। সেখানে কোনও মহিলা স্থান পাননি। এই লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে বুধবার বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। লাঠিপেটা করে ও চাবুক মেরে তাঁদের হটিয়ে দেয় তালিবান। একটি আন্তর্জাতিক চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদী মহিলারা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আফগান নারী জিন্দাবাদ।’ কয়েকজনের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, ‘কোনও সরকারই মহিলাদের অগ্রাহ্য করতে পারবে না’, ‘আমরা স্বাধীনতার গান গাই।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here