দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এদিন সেই পরিস্থিতি দেখে রাজ্যকে প্রাথমিক ভাবে এক হাজার কোটি টাকা অগ্রিম সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী এদিন হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে দুই ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন আরও চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এর পরে বসির‌হাট কলেজে বৈঠক করেন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শীঘ্রই কেন্দ্রীয় টিম এসে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করবে। এর পরে কেন্দ্র অর্থের ব্যবস্থা করবে। আপাতত কেন্দ্র এক হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্যকে। এছাড়াও আমপানের দাপটে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী বিপর্য‌য় মোকাবিলা ফান্ড থেকে।

প্রধানমন্ত্রী বৈঠক শেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়েই দুর্যোগ মোকাবিলায় অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, একে করোনার দাপট চলছে তার উপরে রাজ্যে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে লড়াই চালাচ্ছে বাংলা। এর পরেও যত রকম ভাবে কেন্দ্রের তরফে সাহায্য করা যায় তা করা হবে। গোটা দেশ থাকবে বাংলার পাশে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক শেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়েই দুর্যোগ মোকাবিলায় অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, একে করোনার দাপট চলছে তার উপরে রাজ্যে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে লড়াই চালাচ্ছে বাংলা। এর পরেও যত রকম ভাবে কেন্দ্রের তরফে সাহায্য করা যায় তা করা হবে। গোটা দেশ থাকবে বাংলার পাশে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণঝড়ের দাপটে কমপক্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারবর্গকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “এটা বড় সংকটের সময় রাজ্যের কাছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে অনেকটা এলাকা ঘুরে দেখলাম। এখন বাংলার পুনর্গঠন দরকার। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সেই লড়াইয়ে জয় পাবে রাজ্য।”

নরেন্দ্র মোদী এদিন বসিরহাট কলেজে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরে তিনি বলেন, এই লড়াই বাংলার একার নয়। কেন্দ্র রাজ্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে। সব রকম নীতি নিয়ম প্রয়োগ করে সাহায্য করবে কেন্দ্র। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা তৈরি করতে দ্রুত রাজ্যে একটি কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি দল পাঠাবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা দুনিয়া এখন এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যেই এসেছে ঘূর্ণিঝড়। দু’টো সম্পূর্ণ উল্টো লড়াই। একটিতে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকতে হবে। বাড়ির বাইরে জরুরি কারণ ছাড়া বের হওয়া যাবে না। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মানে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। মোদী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই লড়াই লড়ছে বাংলা।

এদিন রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিন। সেকথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, “এমন মহান মানুষের জন্মদিনে বাংলায় আসতে পেরে আমি গর্বিত। এখন আশা করি রামমোহন রায়ের আশীর্বাদে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বাংলা।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here