দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টিকাকরণ কর্মসূচির ডিজিটাল শংসাপত্রে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি? এই প্রশ্ন আগেই তুলেছিল তৃণমূল। রাজ্য শাসক দলের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নির্বাচনী আচরণবিধির কথা মাথায় রেখে করোনা টিকার শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

চলতি সপ্তাহেই করোনাভাইরাসের টিকাকরণ কর্মসূচির ডিজিটাল শংসাপত্রে এখনও  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি টুইটও করেছিলেন তিনিভ্যাকসিনের ডিজিটালশংসাপত্রের ছবি পোস্ট করে তিনিলেখেন,’ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নির্লজ্জভাবে কোভিড-১৯ শংসাপত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তৃণমূলের অভিযোগ
কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের একটি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে দেখা করে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লাঘু হওয়ার পরেও কো-উইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার চালানো হচ্ছে। সেই মর্মের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখা হয়। যদিও বিষয়টি ঘিরে পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত বহু পেট্রোল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রয়েছে। মানুষকে প্রভাবিত করতে সেই ছবি গুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনে রাজনৈতিক নেতাদের ছবির বিরোধিতাও করেন ফিরহাদ হাকিম। এই সবের মধ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করে তিনি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি ভোট ঘোষণার আগে সরকার কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করে, সেটা পরেও সে ভাবে চলবে। পেট্রোল পাম্পে কেন্দ্রের অনের প্রোজেক্ট আছে। সরকারি নয়, ওটা ব্যক্তিগত জায়গা। 

সূত্রের খবর, এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পুরো বিষয়টির তথ্য চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। অবিলম্বে টিকাকরণ কর্মসূচির ডিজিটাল শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এক সরকারি সূত্রের দাবি, নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্বাচন চলছে সেখানে মোদীর ছবি দেওয়া চলবে না। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে অন্য সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরির মোট ৮২৪ আসনে নির্বাচন। পাঁচ রাজ্যে ২.৭ লাখ ভোট কেন্দ্রে মোট ১৮.৬৮ কোটি ভোটার ভোট দেবেন ।

এবার বাংলায় বিধানসভা ভোট ৮ দফায়। ফলপ্রকাশ ২ মে। কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফায় ভোট ১ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ ৬ এপ্রিল,চতুর্থ দফা ১০ এপ্রিল,পঞ্চম দফার ভোট ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফার ভোট ২২ এপ্রিল, সপ্তম দফা ২৬ এপ্রিল এবং অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল। অসমে তিনদফায় নির্বাচন। ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল, ৬ এপ্রিল হবে ভোট। কেরালা, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি একদফায় ভোট। তিন রাজ্যেই ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here