দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃতিনি বিহারের শাসক দলের বিধায়ক, সেই তিনিই কিনা ট্রেনের কামরায় ঘুরছেন গেঞ্জি-আন্ডারপ্যান্ট পরে! হইচই ফেলে দিয়ে এমনই কাণ্ড ঘটালেন জেডিইউ বিধায়ক গোপাল মণ্ডল। পাটনা থেকে নয়াদিল্লি যাওয়ার সময় তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের এসি ফার্স্ট ক্লাস বগিতে অন্তর্বাসে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সেই ছবি এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। তবে, বিধায়কের এই কাণ্ড দেখে তীব্র আপত্তি তোলেন সহযাত্রীরা। চলে তুমুল বাকবিতণ্ডাও। পূর্ব মধ্য রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) রাজেশ কুমার বলেন, “সহযাত্রীরা বিধায়কের আচরণ সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন। আরপিএফ এবং টিটিই উভয় পক্ষকে রাজি করিয়েছিল।” যদিও নিজের এই পোশাকের জন্য অভাবনীয় যুক্তি দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার পেট খারাপ হয়েছিল। বারবার শৌচালয়ে যেতে হচ্ছিল। তাই ওভাবে জামাকাপড় খুলে রাখতে হয়েছিল।’’ যদিও তাতেও যাত্রীদের ক্ষোভ কমেনি। বরং বিধায়ককে একটি অন্য কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পাটনা-নয়াদিল্লি তেজাস রাজধানী এক্সপ্রেসের এ-১ কোচে দিল্লি যাচ্ছিলেন ভাগলপুরের গোপালপুরের বিধায়ক গোপাল মণ্ডল । ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই যাত্রীরা দেখেন, ওই বিধায়ক কেবল একটি গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কামরার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা এই দৃশ্য় দেখে অস্বস্তিতে পড়েন। প্রতিবাদও ওঠে। কিন্তু তাতে বিধায়ক মশাই রেগে গিয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণও করেন বলে অভিযোগ। তাতে দুপক্ষের বচসা আরও বেড়ে যায়। এরপরই আরপিএফের দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিজের পেট খারাপের কথা বললেও আরপিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের এ-১ কোচের ১৩, ১৪ ও ১৫ সিটটি গোপাল মন্ডলের নামে বুক করা হয়েছিল। অপর দিকেই ২২ ও ২৩ নম্বর আসনে নিজের পরিবারকে নিয়ে সফর করছিলেন প্রহ্লাদ পাসওয়ান নামক এক ব্যক্তি। দু পক্ষই রাজধানী যাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই ট্রেনে সবার সামনে পোশাক ছেড়ে গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া পরে কামরায় ঘুরতে শুরু করেন বিধায়ক। তাঁকে শৌচালয়ে গিয়ে পোশাক পরিবর্তনের অনুরোধ করা হলেও তিনি তা শোনেননি। বরং সংঘাতে জড়ান। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়লেও জেডিইউ-র তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here