দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ গত কয়েক মাস ধরে কোভিডে গ্রাফ যে নিম্নমুখী ছিল, তা আবার ওপর দিকে মুখ ঘুরিয়েছে। তার মধ্যেই এসে গেছে দুর্গাপুজো। গত বছরের মতো কড়াকড়ি না থাকলেও, সতর্কতায় ফাঁক না রাখার কথাই বারবার বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এমনকি আদালতও জানিয়ে দিয়েছে, প্যান্ডেলে প্রবেশ করা যাবে না, রাস্তায় ভিড় করা যাবে না– এমন একগুচ্ছ নির্দেশের কথা।

ছবিগুলিতুলেছেন ধ্রুব হালদার৷

কিন্তু পঞ্চমীর কলকাতা যেন জানিয়ে দিল, আনন্দকেই সবার আগে রেখেছে শহরবাসী । করোনার ভয়কে জয় করে ফেলা গেছে উৎসবের হুজুগে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আজই যদি এই হয়, তাহলে আগামী চারটে দিন আরও ভিড় বাড়বে স্পষ্টতই। এর ফলে কোভিডের কামড় যে আরও চেপে বসবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার প্যান্ডেলগুলিতে তেমন ভিড় ছিল না, ঠিকই। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, দূর থেকেই ঠাকুর দেখেছেন। বেশি ভিড় করতে দেননি উদ্যোক্তারাও। তবে এদিন ছিল রবিবার, ছুটির দিন। তাই বিকেলের পরেই বহু মানুষ বেরিয়ে পড়েন ঠাকুর দেখতে। মূলত তরুণ-তরুণীরাই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে থাকেন।  দক্ষিণের তুলনায় এদিন উত্তর কলকাতার বেশি ভিড় চোখে পড়তে থাকে।

বোসপুকুর শীতলা মন্দির, চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের পুজোর ভিড় নিয়ে তেমন সমস্যা হয়নি। কারণ রাস্তা থেকেই ঠাকুর ও মন্ডপসজ্জা দেখা যাচ্ছে। তার উপরে স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় ভিড় জমতে দেননি।


তবে বেলা গড়িয়ে বিকেল নামতেই শহরের রাজপথের ছবি বদলে যায়। দর্শনার্থীদের ঢল নামে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে যত নেমেছে, ততই পরিবার নিয়ে মানুষজন পথে বেরিয়েছেন। এ প্যান্ডেল থেকে ও প্যান্ডেলে ঘুরেছেন। যদিও ঢালাও পুলিশি বন্দোবস্ত রয়েছে রাস্তায় রাস্তায়, তবু তাতে ভিড় সামাল দেওয়া মুশকিল হয়েছে বড় বড় পুজোর জায়গাগুলিতে।

সেই সঙ্গে ব্যাপক ভিড় রেস্তোরাঁ ও খাবারের স্টলগুলিতেও। সেখানে গাদাগাদি করে মাস্ক ছাড়াই বহু মানুষকে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে শহর কলকাতায় পুজোর ভিড় একেবারেই পরোয়া করছে না আদালতের নির্দেশের। নির্দেশ নির্দেশর মতো বহাল রয়েছে, আর মানুষ মেতেছে বাঁধনছেঁড়া আনন্দে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here