পিয়ালী মুখার্জী, কলকাতা: সংক্রমণ রুখতে রাতের কড়াকড়ি পঞ্চমী থেকে শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এদিন সকাল থেকেই বিধি উড়িয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। কোথাও ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভাঙার উপক্রম, কোথাও রাতের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাওয়া পুজোকর্তা এবং পুলিশকে আলো নেভানোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, না কি পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ির অভাব— কী কারণে এই পরিস্থিতি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে

পুজোর সময় রাজ্যের কোভিড বিধিতে বেশ কিছু ছাড় আগেই দিয়েছিল সরকার। সাধারণ দিনে যেমন রাত ১১টার পর জরুরি সরকার ছাড়া বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ ছিল পুজোর ক’দিন তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। আরও নানা ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছিল পুজো। সেই ছাড়ের তালিকা এবার আরও দীর্ঘায়িত হল।

শনিবার রাতে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। তাতে পুজোর সময় রাজ্যের কোভিড বিধিতে আরও দুটি ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুজোর ক’দিন সমস্ত দোকান, বাজার, বার, রেস্তোরাঁ স্বাভাবিক সময়সূচী মেনে খোলা রাখা যাবে। অর্থাৎ দোকান রেস্তোরাঁ বার খোলা রাখা বা বন্ধ করার যে সময় করোনাকালে বেঁধে দিয়েছিল সরকার, পুজোয় তাতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে বার গুলি রাতে দেরি করে বন্ধ করা যাবে পুজোর সময়। এমনিতে বার বা নাইট ক্লাবগুলি রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশিকা ছিল। সেই মতো কাজ না হলে পুলিশ হানাও দিত বিভিন্ন বার রেস্তোরাঁয়। পুজোর সময় তাতেও মিলল ছাড়।

কী বলছেন সাধারণ মানুষ? রাতে পথে বেরোনো এক দর্শনার্থীর কথায়, ‘‘সব বিধিনিষেধ আজ পঞ্চমী থেকে জারি হবে। তার আগে সকাল থেকে অনেক মণ্ডপ ঘুরে ফেলেছি।’’ দক্ষিণ কলকাতার মুদী আলীর সামনে এক দর্শনার্থী আবার বলছেন, ‘‘পরে আবার কী নির্দেশ দেবে, তার আগে আজই সেরে ফেলতে চাই বেশির ভাগ পুজো মন্ডপ প্রতিমা ।’’ এক পুজোকর্তার কথায় , ‘‘তৃতীয়া থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোক এসেছে। আজ হয়তো রাত গড়িয়েও ভিড় থামবে ন ,বিধিনিষেধ আরও শিথিল হওয়ায় রাতে আরও দর্শনার্থীরা মন খুলে প্রতিমা দর্শন করবেন , এই সুবিধার জন্য অনেকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে’’ ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here