দেশের সময়,কলকাতা: কাজের ছুটি মানেই দিঘা, শঙ্করপুর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান বাংলার এই সমস্ত সমুদ্র সৈকত শহরগুলিতে। এর মধ্যেই সবেমাত্র শীত পড়তে শুরু করেছে বাংলাতে। সামনে বড়দিন। লম্বা ছুটি। শীতের আমেজ সঙ্গে লম্বা ছুটি। সামনে যে দিঘা, মন্দারমণিতে ভিড় আরও দ্বিগুণ হবে তা এককথায় সবাই মেনে নেবে।

আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে ময়দানে নেমে পড়ল ভারতীয় রেল। দিঘাতে ভিড় হবেই তা ধরে নিয়ে দিঘাগামী ট্রেনে ডিসকাউন্ট ফেয়ার স্কিম চালু করল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। অর্থাৎ পর্যটকদের ভাড়ায় ছাড় দেবে রেল। গাড়ি কিংবা বাস নয়, সপরিবারে যাতে পর্যটকরা যাতে ট্রেনেই দিঘায় যাতায়াত করে সেজন্যেই এই সিদ্ধান্ত।

DISCOUNTED FARE SCHEME

IN SOME DIGHA BOUND TRAINS

Press Information Bureau:

With a view to facilitate touring passengers, it has been decided to introduce Discounted Fare Scheme on vacant seats in some Digha bound trains with sitting accommodation of Executive Class and AC Chair Car.

In South Eastern Railway, it has been decided to introduce Discounted Fare Scheme for the following trains up to March 2020:

  • 12847 Howrah-Digha Super AC Express

  • 12848 Digha-Howrah Super AC Express

  • 22898 Digha-Howrah Kandari Express

The rate of discount will be 20% of Base Fare in Executive Class (EC) and 15% of the Base Fare in AC Chair Car(CC). This scheme will be implemented for the above trains w.e.f. booking of 08/12/2019 and onwards up to March 2020 as per the table given below month wise:

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এক্সিকিউটিভ ক্লাসে বেস ফেয়ারের ওপর দেওয়া হবে ২০% ছাড় ৷ এসি চেয়ার কারে বেস ফেয়ারের ওপরে দেওয়া হবে ১৫ % ছাড় ৷ সুবিধা মিলবে ১২৮৪৭ হাওড়া দীঘা সুপার এসি এক্সপ্রেসে ৷ ১২৮৪৮ দীঘা-হাওড়া সুপার এসি এক্সপ্রেস ও ২২৮৯৮ দীঘা হাওড়া কান্ডারী এক্সপ্রেসে ৷ যদিও এই চার মাসে শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার কিছু কিছু দিন বদল হবে এই পরিষেবা, এমনটাই রেলের তরফে জানানো হয়েছে। রেল মনে করছে, এই সুবিধা পাওয়ার ফলে পর্যটকদের দিঘা হোক কিংবা মন্দারমণি যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেনে যাওয়ার প্রবনতা বাড়বে।

হঠাত প্ল্যান মানে দিঘা, মন্দারমনিতে ঘুরে আসাটা এখন যেন হুজুগে বাঙালির একটা স্টাইল হয়ে গিয়েছে। আর তা যেতে বেশিরভাগই সড়কপথকেই ব্যবহার করে। বাস কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়াটাই অনেকেই শ্রেয় বলে মনে করে। আর সেটাই বদলাতে চায় ভারতীয় রেল। আর সেই কারণেই দিঘাগামী ট্রেনে এই ভাড়ায় এই ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। যদিও আপের ট্রেনে চাহিদা বেশি থাকায় আপ কান্ডারি এক্সপ্রেসের টিকিটে এই ছাড় দিচ্ছে না রেল।

উল্লেখ্য, কলকাতা-দিঘা রেলযাত্রার সময় এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কারণ হাওড়া থেকে দিঘা পর্যন্ত এখন ট্রেন চলে বিদ্যুতেই। অর্থাৎ বিদ্যুতয়নের সুবাদে রেলপথে দিঘা আরও কাছে চলে এসেছে কলকাতার। হাওড়া থেকে দিঘা পুরো পথে বিদ্যুতের ব্যবস্থা হওয়ায় দূর পাল্লার ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গে এই লাইনে চলে ইএমইউ লোকালও। দীর্ঘদিন হাওড়া থেকে শুধু তমলুক পর্যন্ত রেললাইনে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল। তাই হাওড়া থেকে মেচেদা হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শহর তমলুক পর্যন্তই ট্রেন চলত বিদ্যুতে। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। পুরো লাইনই বিদ্যুৎ হয়ে গিয়েছে। দিঘা থেকে তমলুক প্রায় ৯০ কিলোমিটার রেললাইনের বিদ্যুতয়নের খাতে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here