দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বছরের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল তাপমাত্রা। জানুয়ারির গোড়াতেই শীত উধাও, এমনটাই ভেবেছিলেন রাজ্যবাসী। অনেকে তো শীতের পোশাকও গোটাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল সংক্রান্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। হলও তাই। সংক্রান্তি পড়তেই ফের কমতে লাগল তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন বেশ খানিকটা কমেছে তাপমাত্রা। একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বনিম্ন পরিমাণ ৪৮ শতাংশ ও সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।


পৌষ সংক্রান্তি পেরিয়ে মাঘ মাস পড়তেই নামতে শুরু করেছে উষ্ণতার পারদ। শুধু উষ্ণতা নামাই নয়, রীতিমতো শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে শৈত্যপ্রবাহ অনুভব করা যাবে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে। জেলার ক্ষেত্রে তা অন্তত ১০ ডিগ্রি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।

জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিক থেকেই বিদায় নেওয়ার পথে হাঁটছিল শীত। এই সপ্তাহের সোমবারও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। বেলার দিকে রোদ উঠলে রীতিমতো গরম পড়ে যাচ্ছিল রোজই। কিন্তু তার দু’দিনের মধ্যেই ফিরল শীত। ভোরের দিকে তো বেশ ঠান্ডা পড়ছে, বেলা বাড়লেও রোদ-গরমের দেখা নেই তেমন।
দক্ষিণবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি হয়েছে। রবি ও সোমবার হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে। সব মিলিয়ে নতুন করে ফিরে আসা শীতের আমেজ উপভোগ করছে সবাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here