দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাস্ক পরা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করা– এই তিন অভ্যাসই করোনা যুদ্ধের মূল হাতিয়ার। এবার এই মাস্ককেই বাধ্যতামূলক অভ্যাসের তালিকা থেকে বাদ দিল আমেরিকা। সকলকে আর মাস্ক পরতে হবে না সে দেশে। তবে সকল সাধারণ দেশবাসী নন, যাঁরা টিকার দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁরাই।

আজ, শুক্রবার ভোররাতে টুইট করে এই বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর কথা উল্লেখ করে বাইডেন লেখেন, “আজ আমেরিকার জন্য একটি ভাল দিন। কোভিড ১৯-এর সঙ্গে এতদিন ধরে দীর্ঘ যুদ্ধের পরে সকলের জন্য আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়।  কিছু ক্ষণ আগে সিডিসি জানিয়ে দিয়েছে যে টিকা সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিরা মাস্ক নাও পরতে পারেন।”

করোনার প্রকোপে এপর্যন্ত আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লক্ষ। তবে ব্যাপক টিকাকরণের পরে এবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করার পরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার দিকে এক কদম এগোল তারা। এতদিন পর্যন্ত বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা ছিল বাধ্যতামূলক। এবার সেই নিয়ম পাল্টে গেল টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য।

সিডিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আশা করি আমরা স্বাভাবিকতার দিকে এবার এক ধাপ এগোলাম। গত বছরখানেক ধরে আমরা বলে এসেছি কী কী করা যাবে না। আজ আমরা জানিয়ে দিলাম কী কী করা যাবে।’’

আমেরিকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও সেদিকে এগনোর এই প্রয়াসের প্রশংসা করছেন তাঁরা। তবে উদ্বেগও রয়েছে এ নিয়ে। অনেকেরই আশঙ্কা, এর নেতিবাক ফলও পড়তে পারে। কারণ অনেকেই টিকা না নিয়েও এই ঘোষণার সুযোগ নিতে পারেব। এ ছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে, এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ৫০ শতাংশ মানুষও টিকা পাননি। এমন পরিস্থিতিতে এই ঘোষণা কি সম্পূর্ণ নিরাপদ হল!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here