দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল পাঁচ মাসের শিশুর। শুক্রবার সন্ধে নাগাদ হরিদেবপুরের ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। জন্ম থেকেই হার্টের অসুখে আক্রান্ত ছিল শিশুটি। অস্ত্রোপচারও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। বাড়িতেই রাখা হয়েছিল শিশুটিকে। গতকাল, শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।

হার্টের অসুখের জন্য বেশ কিছু দিন মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেখে শিশুটির চিকিৎসা হয়েছিল। তারপর ছেড়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। এর মধ্যেই প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয় চার মাস ২৯ দিন বয়সী শিশুটি। লালারসের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল তার। শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধেবেলা অবস্থার অবনতি হয়। তাঁরা যোগাযোগ করেন মুকুন্দপুরের ওই হাসপাতালের সঙ্গে। কিন্তু সেখানে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই সেখানে ভর্তি নেওয়া যাবে না শিশুটিকে। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে। তারা অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে শিশুটিকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।

যে হাসপাতালে শিশুটিকে বাড়ির লোক নিয়ে গিয়েছিলেন তারাই ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছে। তাতে করোনার কথা উল্লেখ রয়েছে। ওই হাসপাতালের মর্গেই রাখা রয়েছে শিশুটির দেহ। আজ মৃত শিশুটির দেহ কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার কথা। তারপর তার শেষকৃত্য হবে।

এর আগে কলকাতায় একাধিক শিশু করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছিল। বাংলাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে অনেক। তারকেশ্বরের একটি শিশু একসঙ্গে করোনা ও বিরল কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে কাওয়াসাকির চিকিৎসা চলার সময়েই কোভিড উপসর্গ ধরা পড়েছিল শিশুটির। কাওয়াসাকি থেকে সেরে ওঠার সময়েই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়ে সে। তারপর তাকে পাঠানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার শিশুটি। কিন্তু এক্ষেত্রে হরিদেবপুরের শিশুটিকে বাঁচানো গেল না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here