দেশের সময়, কলকাতা:ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেও সূর্যের দেখা মেলেনি। 

বৃহস্পতি বৃষ্টিতে ভেসেছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা ৷ যে সময় শীতের প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ সেই সময় আচমকাই সাইক্লোন মিগজাউমের প্রভাবে উলোট পালট চেনা হিসেব। কিন্তু, শুক্রবার থেকে আমূল বদলাবে কলকাতার আবহাওয়া। বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তাপমাত্রা ধাপে ধাপে কমবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। শনিবার একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে আকাশ, আর বইতে শুরু করবে ঠাণ্ডা হাওয়া। রীতিমতো শীত অনুভব করবেন সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে, এল নিনোর একটি বড় প্রভাব চলতি মরশুমে শীতের উপর পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি তিন মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে।

প্রথমে মিধিলি, পরবর্তীতে মিগজাউম- বারে বারে শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিক সাইক্লোন। এই মুহূর্তে মিগজাউম শক্তিক্ষয় করে অবস্থান করছে দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে। শুক্রবার থেকে শহর কলকাতায় নতুন করে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে ক্রমশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও খুব একটা বাড়বে না। নয়া কোনও সিস্টেমের সতর্কবার্তাও নেই ১০ তারিখের মধ্যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি মিলবে, কেটে যাবে মেঘও। শীত নিয়েও আশার খবর শোনাচ্ছেন আবহবিদরা। আগামী ৪ দিনে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তাঁরা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে নামতে পারে তাপমাত্রা। কলকাতায় পারদ নামতে পারে ১৬ ডিগ্রিতে। আপাতত বৃষ্টির কোনও আশঙ্কা নেই। মেঘ কাটলেই বইবে উত্তরের শুকনো বাতাস।

বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে সাত ডিগ্রি কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৮ শতাংশ।

আগামী চার দিনে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস নামবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রার পারদ। জেলাগুলির তাপমাত্রাও একধাক্কায় অনেকটাই কমবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ।

তবে আশঙ্কার কথাও শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি তিন মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। অর্থাৎ শীতের সময় যে তাপমাত্রা থাকে, তার থেকে বেশি থাকবে তাপমাত্রার পারদ।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মনোরম আবহাওয়া। সেভাবে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্তের কোনও প্রভাব সেখানে পড়েনি। বরং শীতের আমেজ ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। সেই আমেজ গায়ে মেখেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে তুষারপাত হয়। একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাতও। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে পর্যটকরা উচ্ছ্বসিত। আগামী কয়েকদিন সেখানকার তাপমাত্রা একই রকম থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত পাহাড়ে আবহাওয়ার বদলের বিশেষ কোনও সম্ভাবনা নেই। শীত উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়মুখী পর্যটকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here