অর্পিতা বনিক, দেশের সময়:শীতকালীন ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যাবেন বলে ভেবেছেন?

আসলে শীত আসলেই আমাদের একটু কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। ছকে বাধা রুটিনের বাইরে কোথাও বেরিয়ে আসলে মনটাও ফ্রেশ হয়ে যায়।

কিন্তু কোথায় যাবেন তা ভেবেছেন কি?

কারোর পাহাড় পছন্দ হয়, কারোর সমুদ্র, কারোর আবার গভীর অরণ্য। কারো বা নদী৷ আর সেই নদী যদি আপনার প্রিয় ইছামতি হয়, তাহলে চলে আসতে পারেন সীমান্ত শহর বনগাঁয় ৷ দেখুন ভিডিও

ইছামতির পাড়ের শহর বনগাঁয় এখন চলছে রোদ কুয়াশায় লুকোচুরি খেলা, হিমেল বাতাস গায়ে মেখে নৌকায় চেপে নীল আকাশের নীচে নদী পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারেন সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি বা পারমাদনের ডিয়ার পার্কে ৷

বড়দিনের ছুটিতে দু’দিন থাকা ও খাওয়ার খরচও নাগালের মধ্যে রেখে কম খরচে ঘুরতে হলে চলে আসতে পারেন বনগাঁয় ৷

শীতকালে মিঠে রোদ গায়ে মেখে প্রকৃতির কোলে কাটানোর জন্য দারুণ জায়গা। ‘ বনগাঁ ’ বনগাঁয় বেড়াতে হলে এখন পারমাদন ফরেস্ট মাস্ট ডেস্টিনেশন। শাল-সেগুনের ভিড়ের মাঝে হরিণের অবাধ বিচরণ ৷ পাশেই বয়ে চলেছে শান্ত স্নিগ্ধ নদী ইছামতি ।

নিরিবিলিতে নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য আদর্শ। বনগাঁ শহরের অদূরেই রয়েছে নীলদর্পণ নাটকের স্রষ্টা দীনবন্ধু মিত্রের জন্মভিটে৷ রয়েছে ঐতিহাসিক রাখালদাসের স্মৃতিবিজড়িত ‘বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি’ ৷ একই সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের রেল স্টেশন পেট্রাপোল সহ স্থল বন্দর ৷

কীভাবে যাবেন: শিয়ালদা থেকে বনগাঁ গামী লোকাল ট্রেনে চেপে বসুন। বারাসত থেকে হাবড়া এবং চাঁদ পাড়া থেকে সামান্য পথ এগোলেই বনগাঁ। আবার রানাঘাট থেকে গোপালনগর হয়ে বনগাঁ আসতে পারেন সহজেই৷

স্টেশন থেকে টোটো-অটো কিংবা রিকশা করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন আপনার পছন্দের এই জায়গাগুলিতে৷

থাকার জন্য পারমাদনে সরকারি গেষ্ট হাউজ যেমন রয়েছে৷ তেমনই বনগাঁ শহরেও রয়েছে অনেক বেসরকারি আবাসিক হোটেল রয়েছে ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here