অর্পিতা বনিক, দেশের সময়:

প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনকে পিছনে ফেলে, নিজেকে সতেজ রাখতে শীতের মরশুমে দু-এক দিনের ছুটিতে ঘুরে আসাই যায় কাছেপিঠে। ভ্রমণপিপাসু মানুষ যারা নিরিবিলি জঙ্গল পছন্দ করেন, তাদের জন্য বনগাঁর বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য এক আদর্শ জায়গা। শহুরে কোলাহল হীন জীবন থেকে এই শান্ত পরিবেশ যেন আপনাকে অন্য এক অনুভূতি দেবেদেখুন ভিডিও

বারাসাত থেকে মাত্র ৭৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বনগাঁ বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। অনেকেই একে বনগাঁ ফরেস্ট বা পারমাদন অভয়ারণ্য বলে চেনেন। শিয়ালদা স্টেশন থেকে বনগাঁ লোকাল ধরে একদম শেষ স্টেশন বনগাঁয় নামতে হবে। সেখান থেকে অটো বা টোটো ধরে চলে যেতে হবে মতিগঞ্জ। সেখান থেকে আবার টোটো বা অটো করে যেতে হবে কলমবাগান। সেখান থেকে ভ্যানে সোজা চলে আসুন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য বা বনগাঁ ফরেস্টে।

বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য যে শুধুই জঙ্গল তেমনটা কিন্তু নয়। এখানে প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে চাইলে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে করতে পারেন পিকনিকও। তার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পিকনিক স্পটের ব্যবস্থাও। অভয়ারণ্যে প্রবেশের জন্য জন পিছু টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা। অভয়ারণ্যে নিজেরা রান্না করে পিকনিক করতে চাইলে, আলাদা করে পিকনিক স্পট টাকা দিয়ে ভাড়া করার সুযোগও রয়েছে।

বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে সকাল ন’টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারেন, যদিও দুপুর তিনটে পর্যন্ত খোলা থাকে টিকিট কাউন্টার। তবে, বিকেল চারটের মধ্যে কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া হয় ফরেস্টে প্রবেশাধিকার। মনে রাখবেন, প্রত্যেক সপ্তাহে বৃহস্পতিবার করে বন্ধ থাকে এই অভয়ারণ্য।জানার ইচ্ছা রয়েছে তো, কি বিশেষত্ব রয়েছে এই ফরেস্টে!

বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে আসলে আপনারা শান্ত পরিবেশের পাশাপাশি দেখতে পাবেন চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণ, ভাগ্য সহায় থাকলে দেখতে পারবেন বহু প্রজাতির পাখি। রয়েছে বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ভেষজ উদ্ভিদের গাছ। যা এখন সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ এবং অভয়ারণ্যের নিস্তব্ধতা যেন একটা অন্য অ্যাডভেঞ্চার তৈরি করবে আপনার মনে। এখানে থাকতে চাইলে স্থানীয় কিছু লজ রয়েছে। থাকার জন্য এসে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের সঙ্গে। তবে চাইলে একদিনের জন্য বন্ধুবান্ধব অথবা পরিবারকে নিয়ে এসেও, ঘুরে যেতে পারেন এই ফরেস্ট। তাই এবার শীতের ছুটিতে একবার ঢু মারতেই পারেন এই ফরেস্টে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here