অর্পিতা বনিক: দেশের সময় : রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনে মেতে উঠবে গোটা দেশ। শেষ মুহূর্তের তোড়জোড়ে ব্যস্ত দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণাংশ।

স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে, ২৬ জানুয়ারি দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারিতেই ভারতের গণপরিষদ দেশের সংবিধানকে গ্রহণ করে।

রেড রোডে ছবিগুলিতুলেছেন শুভেন্দু ঘোষ

দিনটির মাহাত্ম্য মাথায় রেখে তাই রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি মেতে ওঠে গোটা দেশ। সেই প্রস্তুতির ছোঁয়া কলকাতা রেড রোডে ও বনগাঁয়। ‘ফুল ড্রেস রিহার্সাল’-র মেজাজ দেখা গিয়েছে সেখানে। দেখুন ভিডিও

ডক্টর বি আর আম্বেদকরের তত্ত্বাবধানে খসড়া কমিটিভারতীয় সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিল। সংবিধানে ভারতকে সাধারণতান্ত্রিক গণতন্ত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেন দেশবাসী।

প্রত্যেক বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার জন্য কোনও একটি দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই বছর প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতাহ অল-সিসি।

সাধারণত কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি শুরু হয় জুলাই মাসে। অংশগ্রহণকারীদের আগে থেকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। কুচকাওয়াজের দিন ভোর ৩টেয় নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যান তাঁরা। তার আগে, অন্তত ৬০০ ঘণ্টা মহড়া দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে তাঁদের। রাজধানীর সেই কুচকাওয়াজের আমেজ এসে লেগেছে কলকাতাতেও। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদেরও মহড়া দিতে দেখা গেল।

এই বছর রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ৯টি মন্ত্রক তাঁদের ‘ট্যাবলো’ পেশ করতে চলেছে বলে খবর।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ছবি দেখা গেল বনগাঁ সীমান্তে , মহড়ায় ব্যস্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিকদল। সব মিলিয়ে তুঙ্গে তোড়জোড়।

ছবিগুলিতুলেছেন শুভেন্দু ঘোষ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here