দেশের সময় ওয়েবডেস্ক সন্দেশখালিতে বাংলার নারীশক্তি দুর্গা হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাই অপরাধী ধরা পড়েছে। শনিবার কৃষ্ণনগরে এসে বিজেপির জনসভায় ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। দেখুন ভিডিও

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ অপরাধী ধরে না। অপরাধীরা ঠিক করে তারা কবে ধরা দেবে। টিএমসি মানে বদলে গিয়েছে।

কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে রেশনকাণ্ড নিয়েও তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ মোদীর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদী বলেন, ‘‘মানুষের রেশন নিয়েও দুর্নীতি করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। বাংলায় ‘স্কিমকে স্ক্যাম’ বানিয়েছে তৃণমূল।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের অর্থ, ‘তুমি, আমি আর দুর্নীতি’।’’

টিএমসি মানে তু, ম্যায় অউর করাপশনই করাপশন। বাংলার মাটিতে আসন্ন লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটানোর আর্জি জানিয়ে গেলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী মুখ নরেন্দ্র মোদী।

মোদী রাজ্য সরকারকে পদে পদে বিদ্ধ করে বলেন, কেন্দ্রের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। স্বাস্থ্য, নারী বিকাশ, উজ্জ্বলা প্রকল্প আটকে রেখেছে। কারণ তৃণমূল ঘরে ঘরে জল প্রকল্পেও তোলাবাজি চালাচ্ছে।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি হয়েছে। যারা জন্ম নেইনি, তাদের নামেও জবকার্ড দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তোলাবাজরা গরিবের টাকা নিয়ে নিয়েছে। তৃণমূল সরকার সব প্রকল্পেই দুর্নীতি করে।’’

বাংলার টিএমসি সরকার কেলেঙ্কারিতে মাস্টার। এরা কেন্দ্রের সব প্রকল্পে নিজেদের সরকারের স্টিকার সেঁটে দেয়।

এরা গরিবদের রেশন লুট করতেও পিছপা হয় না। বিজেপি সরকার মানুষের জন্য কাজ করে, এটা মোদীর গ্যারান্টি। এ কারণে কৃষ্ণনগরেই শুধু নয় বাংলার ৪২টি আসনে পদ্মফুল ফোটানোর আর্জি জানান মোদী।

বাংলায় ৩৫টি আসনের যে টার্গেট বেধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সেই টার্গেটকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তিনি জানিয়ে দিলেন, বাংলায় ৪২টির মধ্যে ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে। সব আসনে জয়ের ব্যাপারে বিজেপি কর্মীদের লড়াই করতে হবে বলে বার্তা মোদীর। লোকসভায় ৪০০ পার করার জন্য নতুন টার্গেট দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদী এদিন সভা থেকে জানান, যেভাবে রাজ্য সরকার চলছে, বাংলাকে নিরাশা করে দিয়েছে। এই সরকার বারবার এত সমর্থন পেলেও তাঁরা অত্যাচার এবং বিশ্বাসঘাতকের দ্বিতীয় নাম হয়ে গিয়েছে। বাংলার উন্নয়ন নয়, শাসক দলের কাছে পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতি অগ্রাধিকার পেয়েছে। তৃণমূল বাংলার লোককে গরীব বানিয়ে রাখতে চায়, যাতে ওদের খেলা চালিয়ে যেতে পারে। আরামবাগের সভা থেকেই তিনি রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, গোরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন মোদী। এদিনও তাঁর অন্তরায় হল না।

লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির অন্যতম টার্গেট আসন হল কৃষ্ণনগর। এই আসনের বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্র লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই, কৃষ্ণনগর আসনটি বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। কৃষ্ণনগরের এই সভায় তাই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় ছিল মহুয়া মৈত্র।

তিনি আরও বলেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে আগামী ১০০ দিন ধরে ঘরে ঘরে বলতে হবে, মোদীজি এসেছিলেন আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন। সবশেষে ছোট মাঠে লোক না ধরায় কর্মীদের অসুবিধা হওয়ায় সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here