শ্রাবণী হালদার, গোবরডাঙা: পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ১২ জুন গোবরডাঙা সংস্কৃতি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ আলোচনা সভা। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশ সম্পর্কে সমাজকে জাগরিত করা।

প্রতিবছর ৫ জুন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-র মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। চলতি বছরে বিশেষ কারণ বশত অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে যায়। অনুষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেছেন নকশা গোষ্ঠীর কর্ণধার আশিস দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন দীপান্বিতা বণিক দাস।

বিষয় উপস্থাপনে দীপক দাঁ (জল ও জলাভূমি) ,অর্ণব কুণ্ডু(মহাবিপন্ন প্রাণী),হীরক প্রামাণিক(দেশীয় পাখি),মৃণাল বিশ্বাস( জৈব বৈচিত্র) উপস্থিত ছিলেন৷

নকশার প্রধান আশিস দাস বলেন “আমরা যা উদযাপন করি তা যাপন করি না। থিয়েটার তো পরিবেশেরই অঙ্গ। পরিবেশকে বাদ দিয়ে থিয়েটার হয়না।”

অর্ণব কুণ্ডু বাবুর বিষয় ছিল মহাবিপন্ন প্রাণী। ঘুরে ঘুরে কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি। বিপন্ন প্রাণী যেমন ভাম বিড়াল বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি। যাদেরকে গোবরডাঙ্গা মেদিয়া বাওরে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ দেখা যায়। বিষধর সাপ ও বিষহীন সাপ। যেমন বলেন কালনাগিনী সাপ টি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও বিষহীন সাপ।

হীরক বাবু দেশীয় পাখি সম্পর্কে অনেক তথ্য দেন। যাদেরকে গোবরডাঙাতেই দেখা যায়। যেমন চাতকপাখি প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। তারাও কোকিলের মতই অন্যের বাসায় ডিম পারে কিন্তু কোকিল যেমন বাচ্চাদের ভুলে যায় চাতক পাখিরা পরে বাচ্চাদের নিয়ে চলে যায় ।
জৈব বৈচিত্র বিষয়ে মৃণাল বিশ্বাস বিভিন্ন বিষয়ের মধ্য দিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন ও গঠনমূলক কর্মসূচির পরামর্শ দেন ৷

নকশা গোষ্ঠীর এই অভিনব প্রয়াসে তাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা দাবি রাখে। যেখানে আমরা পরিবেশকে একপ্রকার ভুলে যেতে বসেছি।আমরা পরিবেশের একটি অংশ হয়েও সেই পরিবেশকে নিজেদের স্বার্থে আজ বিপন্নতার পথে নিয়ে চলেছি। এমত অবস্থায় নকশার এই অনন্য ভাবনা তাঁদেরকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে।

দীপক দাঁ জল ও জলাভূমি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক অভাবনীয় তথ্য উঠে এসেছে। তার একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন বলেন, পচা নর্দমায় নোংরা জলে ল্যাটা মাছ তেলাপিয়া জন্ম নিচ্ছে বা আগে থেকে রয়েছে ও কচুরি পানাও আছে, কিন্তু সেই পচা জলটি কিছু দুরে গিয়ে প্রাকৃতিক ভাবে পরিশুদ্ধ হয়ে যখন নদীতে গিয়ে পড়ছে। অর্থাৎ ওই মাছ বা কচুরিপানা গুলি প্রাকৃতিকভাবে জলকে পরিশুদ্ধ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here