দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের সক্রিয় হল ইডি (ED)। মঙ্গলবার সকাল থেকে একেবারে অ্যাকশন মোডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

মঙ্গলবার সকালেই এক সঙ্গে রাজ্যের চার প্রান্তের চার জেলায় হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিকের কোয়ার্টারে,হুগলির চুঁচুড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং মুর্শিদাবাদের একটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে সল্টলেকের একটি আবাসনেও।

সকাল হতে না হতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছয় ইডির একটি দল। বাছুরডোবা হাউজিং ব্লক-বি-এর (Block B) এক সরকারি আবাসনে এই মুহূর্তে অভিযান চলছে। জানা গিয়েছে, এখানে এক ডব্লুবিসিএস অফিসারের বাড়িতে অভিযান চলছে। নাম শুভ্রাংশু মণ্ডল। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে MGNREGA প্রকল্পের শংসাপত্রে কারচুপির তদন্তে এসেছে ইডি।

এদিন ইডি ঢুকতেই ঝাড়গ্রাম থানার আইসি আসেন খোঁজ নিতে। আবাসনের ভিতরে ঢুকতে চান তিনি। কিন্তু তাঁকে আটকে দেয় সিআরপিএফের জওয়ানরা। তল্লাশির কাগজ দেখতে চান আইসি। সে সংক্রান্ত কাগজ দেখানো হলে বেরিয়ে যান তিনি।

অন্য দিকে সাতসকালে ভুল বাড়িতে গিয়ে কড়া নাড়ল ইডি, তোলপাড় চুঁচুড়া। বাড়ির উঠোন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ছয়লাপ। বাড়ির লোকজন ভয়ে গেটে তালা দিয়ে ভিতরে বসে। এদিক ওদিক থেকে উঁকি মারছেন। বুঝেই উঠতে পারছেন না কী চলছে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে ইডির সঙ্গে কথার লড়াই। অবশেষে জানা যায়, চুঁচুড়ায় ভুল বাড়িতে চলে এসেছে ইডির ওই টিম। নাম বিভ্রাটে এমন ঘটনা বলেই জানা গিয়েছে।

সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ইডির তল্লাশি। একদিকে ঝাড়গ্রামে যখন ডব্লুবিসিএস অফিসারের আবাসনে অভিযান চলছে, তখন হুগলির চুঁচুড়াতেও ইডির হানা। অন্যদিকে বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে এক পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতেও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে হাজির হয় ইডি। সূত্রের খবর, মনরেগা-য় (MGNREGA) প্রায় ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় তদন্তে নেমেছে ইডি। বেলডাঙা ও ধনিয়াখালিতে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। মোট চারটি এফআইআর দায়ের হয় বলে খবর। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইডির তরফে ইসিআইআর (ECIR) দাখিল করা হয়েছিল। এরপরই এদিন তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় এদিন এক বাড়িতে যায় ইডি। নাম বিভ্রাটে ভুল ব্যক্তির বাড়িতে চলে যায় তারা। সেখানে গিয়ে বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারে, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এই মামলায় এবং যে ব্যক্তির বাড়িতে তারা গিয়েছে তাঁদের নাম এক। এরপর সেই বাড়ি ছাড়ে ইডি। এদিকে ইডি বেরিয়ে যাওয়ার পর মুখে যুদ্ধ জয়ের হাসি বাড়ির লোকজনের। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “নামে কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। তাই এই ঘটনা। তবে এ বাড়ি যাঁর উনি একজন রোগী। কেমো চলে ওনার।” তবে মঙ্গলে যে ইডি তেড়েফুঁড়ে উঠেছে, তা বলাই যায়।

ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগেই এই দুর্নীতির বিষয়ে হুগলির ধনেখালি এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম এই বিষয়ের তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here