অর্পিতা বনিক, দেশের সময়

বড় দিনে আপনার বাড়ির খুদেটিও নিশ্চয়ই মেতে উঠবে আনন্দে। কিন্তু আপনি হয়ত ভাবছেন ঘনঘন কেক পেস্ট্রি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো তো?

কিন্তু উৎসবের মরশুমে স্বাস্থ্যও থাকবে, আবার মনও ভরবে, তাহলে কি ভাবে বানাবেন কেক ভাবছেন তো ! চিন্তার কোন কারণ নেই জানাচ্ছেন কেক মেকার ঝুমা বৈরাগী ৷ যে সারাবছর নিজেই বাড়িতে বানায় ফ্রুট কেক পেস্ট্রি ৷ ঝুমা দেবী দেশের সময়’কে জানালেন কি ভাবে কেক তৈরী করতে হবে ৷ দেখুন ভিডিও

উপকরণ
চিনি-১০০ গ্রাম, মাখন-১০০ গ্রাম,ডিম- ১টি, ময়দা-১০০ গ্রাম, বেকিং পাউডার- ১/২ চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স- ১/২ চামচ,
কাজুবাদাম, কিশমিশ, শুকনো ফল, খেজুর কুঁচি, কমলালেবুর খোসা কোরানো, শুকনো চেরি, পেঠা পরিমাণমতো,দুধ- ১/২ কাপ,খাবার সোডা- ১/২ চামচ।

পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে মাখন আর চিনি ভালো করে মেশান। যতক্ষণ না ফুলে উঠছে ততক্ষণ মিশিয়ে নিন। ডিম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। ফোঁটা ফোঁটা করে ডিমের গোলা ওই মাখনের মিশ্রণে মেশান। যতক্ষণ না মিশ্রনটা ফুলে ওঠে ফেটাতে থাকুন। ময়দার সঙ্গে খাবার সোডা ও বেকিং পাউডার মেশান। ময়দাটা ওই মিশ্রণে দিয়ে আবার ফেটাতে থাকুন। মিশ্রণটা ভাঁজ ভাঁজ হয়ে উঠবে। ওই মিশ্রণে এবার কিশমিশ, চেরি-সহ শুকনো ফল আর পেঠার কুঁচি মিশিয়ে দিন।

আবার ভালো করে ফেটিয়ে নিন। কেকের পাত্রে মাখন লাগিয়ে রাখুন। ওতে মিশ্রণটা সমানভাবে উঁচু করে কেকের শেপে ছড়িয়ে দিন। আভেন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রি-হিট করে রাখুন। ১০ মিনিট বেক করুন। অথবা কুকারের মধ্যে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দেবেন। নিজে থেকে ঠান্ডা হলে তারপর কেটে পরিবেশন করুন।


কেক বানিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিয়েছেন বনগাঁর ঝুমা দেবী ৷

তিনি জানান, করোনাকালে বাড়িতে চরম আর্থিক সংকট।
নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। তখনই নিজে কিছু করার তাগিদেই লকডাউনের মধ্যেই চলে গিয়েছিলেন হ্যান্ডমেড কেক তৈরির কৌশল শিখতে ৷

এরপরেই আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। নিজে এখন হাল ধরেছেন সংসারের। পাশাপাশি তাঁর কাছ থেকে হ্যান্ডমেড কেক তৈরির কৌশল শিখে প্রায় একশ জন মহিলা আজ স্বনির্ভর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here