দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় এখনও কেবল কারে ঝুলন্ত অবস্থায় আটকে রয়েছেন দুই পর্যটক। দুটি কেবল কারে ধাক্কা লাগার পর কেটে গিয়েছে ৪০ ঘণ্টা। মাটি থেকে প্রায় ৮০০ মিটার ওপরে ঝুলে থাকায় উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার সহায়তায় চেষ্টা করে চলেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাহায্য করছে ইন্দো-টিবেটান সীমান্ত পুলিশও। দুর্গত পর্যটকদের জল ও খাবার দেওয়া হয়েছে। 

কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণেই বিপত্তি বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। এক বেসরকারি সংস্থা এই রোপওয় চালানোর দায়িত্বে। দুর্ঘটনা ঘটতেই পালিয়েছে রোপওয়ের ম্যানেজার এবং কর্মীরা।

দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজন্ত্রি জানিয়েছিলেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যায় এনডিআরএফ। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে বলে খবর। তিনি বলছেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। তবে বায়ুসেনা উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর পরেও কী করে তিন জনের মৃত্যু হল, এত সময়ই বা লাগছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

এই ঘটনায় প্রথমে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। উদ্ধারকাজ চলাকালীন হেলিকপ্টারে উঠতে গিয়ে দড়ি ফসকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় আরও একজনের। এই ঘটনায় ভিডিও প্রকাশ হতেই শিউরে উঠেছেন সবাই। গতকাল সন্ধের পরে আলোর অভাবে বন্ধ হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। আজ দিনের আলো ফুটতেই শুরু হয়েছে তা।

এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, ‘দেওঘর ত্রিকূট রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রশাসন, সেনা এবং এনডিএফ-এর টিম তৈরি হয়ে কাজ করছে। আমি পরিস্থিতির ওপর সবসময় নজর রাখছি। শিগগিরই সবাইকে উদ্ধার করা হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here