দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাতের অন্ধকারে দুস্কৃতিরা তুলে নিয়ে গিয়েছে মুন্নিকে! ভোরের আলো ফুটতেই বিএসএফ ক্যাম্পে ছোটেন প্রৌঢ়। সেই ঘটনা শোনা মাত্র তৎপরতা দেখান বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারও। বিষয়টি জানানো হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের। সেখান থেকে অনুমতি মিলতেই সীমান্ত পেরিয়ে ফোন যায় ও পার বাংলায়। শুরু হয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা।
সতর্ক করা হয় কর্তব্যরত জওয়ানদের। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয় সীমান্তে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে তথ্য আদান-প্রদানের পর অবশেষে মিলল সুখবর । ও পার থেকে বিএসএফ-কে জানানো হল, মুন্নির খোঁজ মিলেছে! খবর গেল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানার কাছারিপাড়া গ্রামের বিপ্লব মণ্ডলের কাছে। মুন্নি তাঁর গরু। পোষ্যকে ফিরে পেয়ে বিপ্লব বলেন, ‘ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। মুন্নি তো সন্তানসম্ভাবা!’
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো শনিবারও পাটের ক্ষেতে নিড়ানির কাজ করে সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফিরে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়েন বিপ্লব। রাত ২টো নাগাদ ঘুম ভেঙে উঠে দেখেন, গোয়ালে মুন্নি নেই। বিপ্লবের বুঝতে দেরি হয়নি যে, তাঁর পোষ্যকে চুরি করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর পর সকালেই স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পে গরু চুরির অভিযোগ জানান বিপ্লব। এর পরেই বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক দেবেন্দ্র সিংহ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রবিবার সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানো হয়, গরুটিকে তারা খুঁজে পেয়েছে। পরে ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিএসএফের হাতে গরুটিকে তুলে দেওয়া হয়।
বিজিবির ভূমিকায় খুশী হয়ে বিএসএফের ১৪১ নং ব্যাটেলীয়নের কম্যান্ড্যান্ট নগেন্দ্র সিংহ রতেলা বলেন, ‘বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় রেখে গরুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ বিপ্লব বলেন, ‘‘আর কয়েক দিন বাদেই সন্তানপ্রসব করবে মুন্নি। ওর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। এ বার থেকে ওকে সব সময় চোখে চোখে রাখব।’