দেশের বাসিন্দার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস আছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এদিন তিনি আবার নিশ্চিত করে বলেন যে আওয়ামী লীগই আবার সরকার গঠন করবে। একই সঙ্গেই দেশের সবাইকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আবেদনও করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

দেশের সময়, ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রবিবার সকাল আটটায় ভোট শুরু হয়েছে। নিজের বুথ ঢাকা সিটি কলেজে প্রথমেই ভোটদান করেন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। 

বাংলাদেশের সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে এদিন ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ২৯৯টি কেন্দ্রে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।

প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ১০ সংসদীয় আসনের ভোটার। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জনপ্রিয় চিত্রাভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ।

ভোট দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, আমি প্রত্যাশা করছি, ভোট হবে অবাধ, শান্তিপূর্ণ। বিরোধী দল বিএনপির ভোট বয়কট নিয়ে বলেন, ওরা একটি সন্ত্রাসী দল। 

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপরের দুটি নির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন তাঁরা। হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে। সেগুলি আমরা সম্পন্ন করতে চাই।’

 

তিনি আরও বলেছেন, জনগণের ওপর তাঁর বিশ্বাস আছে। তাঁর দল আওয়ামি লিগের প্রতীক নৌকা মার্কার জয় হবে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব ছিলেন। এ সময় হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী ছবি তোলেন ও কেন্দ্রে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। ভোট শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রী ভোটকক্ষে প্রবেশ করেন। তারপর তিনি ভোট দেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়া ও বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে।

ভোট দেওয়ার পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি, সে জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’


আজ সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

যে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০। রূপান্তরকামী ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮।


নির্বাচন কমিশনের মোট নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ নিবন্ধিত বাকি দল এবং আরও কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছে।

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৯। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৩ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩৬।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষক ১১৭ জন। আর আমন্ত্রিত আছেন ৩২ জন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪। আর ভোটকক্ষ আছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভোটের মান্যতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি একমাত্র আমার দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। আর কারও কাছে নয়। 
প্রধানমন্ত্রীকে বুথে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী তথা অভিনেতা ফিরদৌস।ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বিপ্লব বড়ুয়া। হাসিনার সঙ্গে ভোট দিতে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন রেহানা এবং তাঁর পুত্র রেজওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।

ভোট ঘিরে রাজধানী ঢাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। রাস্তার দু’পাশে কয়েক পা অন্তর পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা বাহিনী। বুথে ভোটারের উপস্থিতি মিশ্র। কোথাও বড় লাইন, কোথাও হাতে গোনা কয়েকজন। তবে শহরের বড় রাস্তাগুলি বলতে গেলে জনমানব শূন্য। যেন কারফিউ জারি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চট্টগ্রামে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আরও কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর এসেছে। তবে বড় গোলমালের ঘটনা এখনও ঘটেনি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চট্টগ্রামে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আরও কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর এসেছে। তবে বড় গোলমালের ঘটনা এখনও ঘটেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here