দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অনলাইন ক্লাসের মানসিক চাপ কাটিয়ে ৩৩৩ দিন পর ফের চেনা ক্লাসরুমে শুরু পড়াশোনা, দীর্ঘ ১১ মাস পর দ্বিতীয় বাড়িতে ফেরা। স্কুলঘর গুলি ফের চেনা ছন্দে। দেখা গেল ফের হাসাহাসি, পড়াশুনা, টিফিন, গল্পের হাট। প্রাণ পেল স্কুলবাড়িটা। সেই সঙ্গে প্রাণ পেল পড়ুয়ারাও। চেনা ক্লাসরুমে বেঞ্চের ধুলো সরিয়ে শুরু হল পঠনপাঠন। তবে কোভিড পরিস্থিতির আগে যে ছবি ছিল সেই ছবি উধাও হয়ে গিয়েছে। হইহুল্লোড় নেই, টিফিন ভাগ করে খাওয়া নেই। নিউ নর্মালে আছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, স্কুলের দরজায় বড় বড় করে লেখা কোভিড বিধি। 

এতদিন পর অনলাইন ক্লাস থেকে বেড়িয়ে চেনা ছন্দে ফেরায় খুশি পড়ুয়ারা। বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ের সুযোগ না থাকলেও এতদিন পর দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে কথা বলতে পেরে মানসিকভাবে স্বস্তিতে পড়ুয়ারা। চেনা ব্ল্যাকবোর্ড, স্যার-‌ম্যাডামের সামনে বসে ক্লাস করে একপ্রকার নস্টালজিয়ায় বুঁদ হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে স্কুল চালু করার। কোভিড আতঙ্কের মধ্যেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠন শুরু হওয়ার নির্দেশ আসে। সেই সঙ্গেই ২৮ পাতার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা দফতর। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এই নির্দেশিকা স্কুলের নোটিস বোর্ডে টাঙিয়ে রাখতে হবে। স্কুলে থাকতে হবে একটি ‘আইসোলেশন রুম’। 

ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে শিক্ষকদের। ক্লাসের মধ্যেও যাতে পড়ুয়ারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে, একে অন্যের সঙ্গে খাবার বা জল ভাগ করে না খায়, সবাই যাতে সর্বদা মাস্ক পড়ে থাকে সে বিষয়ে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সব নিয়ম মেনেই শুক্রবার থেকে স্কুল খুলল। শহরের নামী এক স্কুলের এক পড়ুয়া বলেন ‘অনলাইন ক্লাসে এতদিন পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছিল না। বিভিন্ন সমস্যা হত। আবার আগের মত কাজ করতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে।’ 

ক্লাস শুরু হওয়ায় বেশ কিছু সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরাও। এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক বলেন, ‘যা হাতেকলমে শেখাতে হয়, তা অনলাইন ক্লাসে বোঝানো সম্ভব নয়। এবার এই সমস্যা মিটবে।’ সে যাই হোক এতদিন পর কাছের বন্ধুকে পেয়ে সেই গল্প, আড্ডায় ফের প্রাণ পেল পড়ুয়ারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here