দেশের সময়: ওয়েবডেস্কঃ যমজকন্যাসন্তানকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বাবা এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস সেই দুই সন্তানকে উদ্ধার করার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুরিয়া গ্রামে।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম রতন ব্রহ্ম। পেশায় কাপড়ের ফেরিওয়ালা রতনের বাড়ি গাইঘাটার শিমূলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুড়িয়া গ্রামে। রতনের একটি ৮ বছরের কন্যা সন্তান আছে। এরপর ফের অন্তঃসত্ত্বা হন তার স্ত্রী রমা ব্রহ্ম। মাস দুয়েক আগে বনগাঁর জীবনরতন ধর মহকুমা হাসপাতালে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রমাদেবী। রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ বিশেষ সূত্র মারফত গাইঘাটা থানায় খবর আসে, রতন তার যমজ কন্যাসন্তানকে দুই জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছে। এই খবর পেয়ে পুলিস প্রথমে রতনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ২৬ অক্টোবর সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। একটি সন্তানকে সে গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর এলাকার বাসিন্দা, পেশায় চালের ব্যবসায়ী কৃষ্ণকান্ত দাসের কাছে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। সম্প্রতি কৃষ্ণকান্তের একমাত্র কন্যাসন্তান আত্মহত্যা করে। ফলে সন্তানের অভাব পূরণে তিনি রতনের একটি কন্যা সন্তানকে কিনে নেন। এর পাশাপাশি, গাইঘাটা থানারই মহিষাকাটি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমল ঘোষ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে রতনের অন্য একটি কন্যা সন্তানকে কিনে নেন।

উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে অমল ঘোষের ১৯ বছরের একমাত্র পুত্রসন্তান হঠাৎই মারা যান। তিনিও সন্তান হারানোর দুঃখে রতনের আর এক কন্যাসন্তানকে ৮০ হাজার টাকায় কিনেছেন। রতনের কাছ থেকে এই কন্যা বিক্রির খবর পাওয়া মাত্রই গাইঘাটা থানার পুলিস কৃষ্ণকান্ত দাস এবং অমল ঘোষের বাড়ি থেকে বিক্রি হওয়া ওই দুই কন্যাসন্তানকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিসি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি থেকে এক লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিস। জেরায় সে জানিয়েছে, বাকি ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে সে দেনা মিটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিস জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেছে। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে “অভাবের তাড়নায় তিনি এই কাজ করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিষ বিশ্বাস বলেন,এখন দেশে বেটি বাঁচাও, কণ্যাশ্রী প্রকল্পের মত সরকারি সাহায্য রয়েছে,তাছাড়া প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা যথেষ্ট সচেতন,মানুষের পাশে থাকছেন তাঁরা।সেখানে যতই অভাব থাকুক না কেন এটি একটি জঘন্য ঘটনা। উনি আদতে বাবা কিনা সন্দেহ আছে!আমি নিজের একটি কণ্যাসন্তান আছে,অভাব এলে প্রয়োজনে নিজের কিডনি বেচে দিয়ে সন্তান কে রক্ষা করব৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here