দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামে এবার মমতা বনাম শুভেন্দু। যুদ্ধের আগাম হুঙ্কার দিয়েছে দুই পক্ষই। রাত, সকাল, ভোর চলছে প্রচারও। বিজেপি সূত্রে খবর, ১২ মার্চ মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান।

একুশের নির্বাচনে বাংলার অন্যতম ফোকাশ নন্দীগ্রাম কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।একদা সতীর্থ এবং বঙ্গ তথা কেন্দ্রীয় রাজনীতির দুই হেভিওয়েটের এই লড়াইয়ের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে কৌতুহল অন্তহীন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ৯ তারিখ নন্দীগ্রামে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ অথবা ১১ তারিখ মনোনয়ন পেশ করতে পারেন তিনি। এদিকে গেরুয়া শিবিরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে ১২ মার্চ মনোনয়ন পেশ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর সঙ্গে থাকবেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় কোনও নেতা বা মন্ত্রী থাকবেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে ধমেন্দ্র প্রধান এবং স্মৃতি ইরানির নাম।

এদিকে গতমাসে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রাম আমার সবথেকে লাকি জায়গা। নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১-এ তৃণমূল জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জেতার পালা। কারও নাম এখনই বলছি না। পরে বলব। ভালো মানুষ দেব, যিনি সত্যিকারের আপনাদের পাশে থেকে কাজ করবেন। আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়। ভাবছিলাম। কথার কথা। একটু বললাম। একটু ইচ্ছে হল। একটু আমার মনের জায়গায়। সুব্রত বক্সিকে আমার নাম মনে রাখতে বলব।’ শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায়, শুধু নন্দীগ্রামকেই ‘ফোকাস’ করছেন তিনি। সেখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন মমতা।মমতাকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক সভা থেকে হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামে হাফ লাখের বেশি ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’

এমনিতে বরাবরই শুভেন্দুর মনোনয়ন পেশের মিছিল বড় করেই হয়। তা সে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময়ে তমলুকের প্রার্থী হিসাবে হোক বা ষোল সালের ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে মনোনয়ন পেশের সময়ে। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, মনোনয়ন পেশের দিন স্মৃতি ইরানি ও ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পাঠানোর ব্যাপারে দলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, অমিত শাহরা চাইছেন, সেই মিছিল এতো বড় ও প্রভাবশালী হোক যে তাতেই অনেকটা প্রচার হয়ে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here