দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফুলশয্যার আগেই যেন কাঁটা বিঁধল! একটা দেড় মিনিটের ভিডিও ক্লিপিং আর কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশট মুহূর্তের মধ্যে তছনচ করে দিল সবটা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বেঙ্গালুরু পুলিশ এখন খুঁজছে, একটা সম্পর্কে কতগুলি দিক থাকতে পারে। পরতে পরতে জটিলতা।

একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী নিখিল (নাম পরিবর্তিত)। ২০১৯ সালের জুন মাসে বছর ৩১-এর এই যুবক আংটি বদল করে এনগেজমেন্ট সেরেছিলেন কর্ণাটকের রাজ্য সরকারের কর্মীচারী বছর ২৭-এর সনিয়ার সঙ্গে (নাম পরিবর্তিত)। তাঁদের বিয়ে হয় ২৪ নভেম্বর। রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর স্ত্রীকে রেখে এসেছিলেন বাপের বাড়িতে। ১৫ ডিসেম্বর নিখিলের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল সনিয়ার। ওইদিনই হওয়ার কথা ছিল ফুলশয্যা। কিন্তু ১৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হঠাৎ নিখিলের ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি ভিডিও আসে।


নিখিলের দাবি, ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় সনিয়া প্রায়নগ্ন অবস্থায় অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, তিনি ওই ক্লিপিং পাওয়ার পর খানিকটা হতচকিত হয়ে যান। প্রথমে ভাবেন কেউ হয়তো ফেক ভিডিও পাঠিয়ে তাঁর বিশ্বাস নষ্ট করতে চাইছেন। কিন্তু ভিডিওর নীচেই একটি ফোন নম্বর লেখা ছিল। তাতে ফোন করতেই বেরিয়ে আসে আরও কাহিনী। ফোন করলে ওই প্রান্ত থেকে এক যুবক ফোন তুলে পরিচয় দেন তাঁর নাম সুজয় (পরিবর্তিত)। এর পরে পরেই ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আসে বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট। যেখানে এই যুবকের সঙ্গে সনিয়ার কথোপকথন রয়েছে বলে দাবি নিখিলের।
পুলিশের কাছে নিখিল গোটা ঘটনার কথা জানান। জানান পরিবারকেও। তোলপাড় পড়ে যায় বাড়িতে। সুজয়ের তরফে দাবি করা হয়, সনিয়ার সঙ্গে তাঁর নাকি সাতবছরের সম্পর্ক। বলা হয়, অজস্রবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে সনিয়া-সুজয়ের মধ্যে। বাড়ির লোক মেনে নেয়নি। জোর করে বিয়ে দিয়েছিল। ফুলশয্যা আটকাতে আর কোনও উপায় ছিল না বলেই এই কাজ করতে হয়েছে তাঁকে।

এরপর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। আসরে নামে সনিয়ার মামারবাড়ির লোকজন। নিখিলের দাবি, তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয় পুলিশে না যেতে। সনিয়াও নাকি তাঁকে বলেন, পুলিশে গেলে সুইসাইড নোটে নিখিলের নাম লিখে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়বেন।
গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। সম্প্রতি এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের বক্তব্য, এটি একটি জটিল মামলা। গোটা বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে। নিখিলের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সনিয়া ও ওই যুবকেরও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here