দেশের সময়ঃ গঙ্গাবক্ষে ৮১ কিমি সাঁতার ২৫ অগস্ট–মুর্শিদাবাদে ভাগীরথীর বুকে দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার আয়োজিত হতে চলেছে। ৮১ কিমির পাশাপাশি

১৯ কিমি সাঁতারও যথারীতি আয়োজিত হবে। দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতারে মোট ১৩ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। তার মধ্যে

বাংলাদেশের ২জন, নেদারল্যান্ডের একজন, বাংলার ছ’জন, মহারাষ্টের ২ জন, গুজরাত, কর্ণাটকের একজন করে সাঁতারু
অংশগ্রহণ করছে। সর্বভারতীয় সাঁতার সংস্থা সাহায্য না করার জন্য এবার সফলভাবে আন্তর্জাতিক সাঁতারু অংশগ্রহণ করছেন না।

তবুও আয়োজকরা প্রতিবারের মতোন এবারও সফলভাবে ভাগীরথীর বুকে দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার সফলভাবে আয়োজন

করার ব্যাপারে আশাবাদী। ৮১ কিলোমিটার সাঁতার উপলক্ষে সোমবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

করেন আয়োজকরা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাঁতারু বুলা চৌধুরী, বেঙ্গল অ্যামেচার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সভপাতি মেয়র
ইন কাউন্সিল দেবাশিস কুমার প্রমুখ।

৮১ কিলোমিটার সাঁতারে যিনি প্রথম হবেন তাঁকে দেওয়া হবে ৫১ হাজার টাকা। যিনি দ্বিতীয় হবেন তাঁকে দেওয়া হবে ৩০ হাজার
টাকা। অন্য দিকে তৃতীয় স্থানাধিকারীকে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া ৮১ কিমিতে অংশ নেওয়া প্রতিটি সাঁতারুকে
দেওয়া হবে দু’হাজার টাকা করে।

এই সাংবাদিক সম্মেলনে সর্বভারতীয় সাঁতার সংস্থাকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন সাঁতারু বুলা চৌধুরী। তিনি বলেন, ’ সর্বভারতীয়

সাঁতার সংস্থা আগেও বাংলাকে সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। এখনও একইভাবে সমস্যার সৃষ্টি করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ’আমি ৪০ বছর ধরে সাঁতার কেটেছি।

নদী ও পুকুরে সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যালেন পার হয়েছি। কিন্তু
আমি চাই না আমার পরের প্রজন্ম এভাবে সাঁতার শিখুক। আমি সাঁতারের ভালো পরিকাঠামো চাই। সুইমিং পুল সহ ভালো
পরিকাঠামো দরকার।’

ভাগীরথীর বুকে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রসঙ্গে বুলা বলেন, ’ ন’বছর বয়সে ৮১ কিমি সাঁতার কাটার
আমার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমার বয়স মাত্র ন’বছর বলে ৮১ কিমি সাঁতার কাটতে দেওয়া হয়নি।

বড় হওয়ার পরেও আমাকে
৮১ কিমি সাঁতার কাটারে নামতে দেওয়া হয়নি। তাই ওই সাঁতার কাটার উৎসাহ আরও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য ৮১
কিমি সাঁতার কেটেছি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আয়োজকরা ভাগীরথীর বুকে দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার আয়োজন করেন।

এই প্রতিযোগিতা এবার ৭৬ বছরে পড়লো। বিশ্বের দরবারে ৮১ কিমি সাঁতার তুলে ধরুন।’
বাংলার সাঁতারুদের এদিন খুশির খবর শুনিয়েছেন দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, ’সুভাষ সরোবরে কাজ চলছে। ওখানে একটা
সুইমিং অ্যাকাডেমি তৈরি হচ্ছে। আমাদের রাজ্যের সুইমিংয়ের পরিকাঠামো উন্নতি করতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here