দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১ জুন থেকে লকডাউনের পঞ্চম পর্যায় শুরু হয়েছে দেশে। কেন্দ্রের তরফে এই পর্যায়কে অনলক ফেজ ১ নাম দেওয়া হয়েছে। কারণ এই পর্যায়ে বেশ কিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানালেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। তিনি বলেন, ফুটপাতের দোকানদারদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে লকডাউনের ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা দেশ। তার মধ্যে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফুটপাতের দোকানদাররা। দু’মাসের বেশি তাঁদের ব্যবসা বন্ধ। দিন আনি দিন খাই মানুষদের এর ফলে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক জায়গায় তো এই ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেক দোকানদার আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছেন। সব পুঁজি শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে ব্যবসা শুরু করার মতো টাকাও তাঁদের কাছে নেই। এই দোকানদারদের জন্য ঋণের ঘোষণা করল মোদী সরকার।

এই প্রকল্পের ফলে দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ দোকানদার উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁরা নতুন করে ব্যবসা শুরু করার জন্য এই টাকা লগ্নি করতে পারবেন।

এদিন ফের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা বদল করেছে কেন্দ্র। এতদিন ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনের শিল্পগুলি ক্ষুদ্র শিল্প, ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধনের শিল্পগুলি ছোট শিল্প ও ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত মূলধনের শিল্পগুলিকে মাঝারি শিল্প বলা হত। ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে মূলধনের সীমা বাড়িয়ে ১ কোটি, ছোট শিল্পগুলির ক্ষেত্রে ১০ কোটি ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ৫ কোটি, ছোট শিল্পের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ৫০ কোটি ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয়ের সীমা বাড়িয়ে ২৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রায় ২ লক্ষ ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প উপকৃত হবে বলেই দাবি করেছেন নীতিন গড়কড়ি।

গড়কড়ি বলেন, যাঁরা এই ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা যেন নতুন করে নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তার জন্যই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডর্স আত্মনির্ভর নিধি’। এই প্রকল্পের আওতায় রাস্তার ধারে ফুটপাতে কিংবা ঠেলাগাড়ি নিয়ে বসা দোকানদাররা ঋণ পাবেন। তার মধ্যে সব্জি, ফলের দোকান, সেলুন, জুতো সারাইয়ের দোকান, লন্ড্রি ও পানের দোকানদাররাও রয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here