দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে দেওয়া ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার দাবিতে ফের একবার রেলযাত্রীদের অবরোধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল স্টেশন চত্বর। এবার বিক্ষোভ হয়েছে হুগলির বৈদ্যবাটি স্টেশনে। এই বিক্ষোভের ফলে আটকে পড়েছে একটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। এমনকি এই বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে জিটি রোডেও। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জিটি রোড। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন অনেক নিত্যযাত্রী।

সাধারণ যাত্রীদের জন্য ট্রেনের দাবিতে সকাল ৮টা ১৫ নাগাদ অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। পরে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা জিটি রোডও অবরোধ করে। ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন জিটি রোডে নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, অবিলম্বে ট্রেন চালু করতে হবে ও টিকিট কাউন্টার খুলতে হবে।

রাজ্যে রেল কর্মীদের জন্য স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের জন্য এখনও বন্ধ লোকাল। আজ লোকাল ট্রেন চালানোর ইস্যুতে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করবে রেল।  এ দিন লোকাল ট্রেনের দাবিতে রেললাইনে লোহার স্লিপার ফেলে দিয়ে ট্রেন আটকে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। রেলের সঙ্গে বৈদ্যবাটি গেট বন্ধ হয়ে যায়। জিটি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর রেলপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশও। তবে কোনও অবস্থাতেই অবরোধ তুলতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। 

রেলকর্মী স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে এর আগেও অবরোধ বিক্ষোভ হয়েছে হুগলির একাধিক স্টেশনে। গত শনিবার হাওড়া স্টেশনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় যাত্রীরা। অফিস টাইমে শহরতলিতে কিছু লোকাল ট্রেন চালানো যায় কিনা তানিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

গত শনিবার সাধারণ যাত্রীরা হাওড়ায় রেলকর্মী স্পেশাল ট্রেনে উঠতে চাওয়ায় ব্যাপক অশান্তি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরপিএফ লিঠা চালায় বলে অভিযোগ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ওই ঘটনার নিন্দা করে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মাকে চিঠি দেন। তাতেই রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছে প্রকাশ করে রাজ্য। সেই অনুযায়ী আজ বৈঠক। রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি (আইনশৃঙ্খলা), কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার, প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজার এবং অন্যান্য আধিকারিক আলোচনায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here