দেশেরসময় ওয়েব ডেস্কঃ আইনি সব পথ বন্ধ। শুক্রবার ভোরেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে ২০১২-র দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চার আসামীর। ফাঁসি রোখার শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৪ ফাঁসির আসামীর মধ্যে তিন জন। সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করার পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চার জনের মধ্যে তিন জন। তাদের হয়ে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী এপি সিং। রাতেই তাদের আবেদনের জরুরি শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। সমস্ত বিচার বিবেচনা করে আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মোহন। একইসঙ্গে গোটা ঘটেনায় ক্ষোভ উগড়ে দেন বিচারক।
আবেদনকারীদের আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘এই আবেদনের সঙ্গে কোনও অ্যানেক্সচার নেই। পক্ষদের মেমো নেই। এই আবেদন অন্তঃসারশূন্য। আপনি এটি দাখিলের আগে অনুমতি নিয়েছেন?’
এর জবাবে বিচারপতিকে আইনজীবী এপি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে তাঁর পক্ষে নথির ফোটোকপি করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেন, ‘আদালত কীভাবে তাহলে খোলা আছে। আপনি আজ তিনটি কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। ফলে আপনি একথা কখনই বলতে পারেন না, ফোটোকপি করার মতো সুযোগসুবিধা ছিল না। আপনার বক্তব্য শোনার জন্য রাত ১০টায় আমরা এখানে উপস্থিত আছি।’ এর পরেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসি বহাল রাখার রায় দেন।
এর আগে তিন বার নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিদের ফাঁসির তারিখ শেষ মুহূর্তে এসে পিছিয়ে গিয়েছে। ফাঁসি পিছনোর চেষ্টা এখনও জারি রয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের। যদিও সেই চেষ্টা জলে মার গেল। ফলে মৃত্যু পরোয়ানা অনুসারে শুক্রবার ভোরেই তিহাড় জেলে অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) এবং মুকেশ সিংকে (৩২) ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here