দেশের সময়, বনগাঁ: রেজিস্ট্রি ম্যারেজের ব্যবস্থার পাশাপাশি শাখা, সিঁদুর পরিয়ে, মালাবদল করে বনগাঁ আদালত চত্বরে প্রেমিকাকে বিয়ে করে জামিন পেলেন প্রেমিক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ঘটনায়, আদালতের এই রায়ের খুশি পাত্র-পাত্রী দু’পক্ষই।

আইনজীবী সমীর দাস এবং মামলাকারী মহিলার আইনজীবী প্রদীপ চ্যাটার্জীর কথায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরা প্রেমিকাকে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করায় গত ২২ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন প্রেমিকা। অভিযুক্ত উত্তম সরকার রাজ্য পুলিশের সাত নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল হিসেবে আসানসোলে কর্মরত। বাড়ি নদীয়া জেলার রানাঘাট থানার হাবিবপুর গ্রামে।

অভিযোগ, পুলিশে কর্মরত হওয়ায় গোপালনগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছিল না। এই পরিস্থিতিতে অত্যাচারিত ওই মহিলা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তোলার পর অভিযুক্তর জেলহাজত হয়।

এরপর অভিযুক্ত যুবকের আইনজীবী বিপুল মল্লিক আদালতে আবেদন জানান যে, অভিযুক্ত যুবক তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার পাশাপাশি তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করছে।

এর পরই বুধবার বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত এক এর বিচারক শান্তনু মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে, অভিযোগকারী মহিলাকে বিয়ের পাশাপাশি তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করতে হবে অভিযুক্তকে। একইসঙ্গে সামাজিক এবং সরকারিভাবে বিয়ে করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে তার স্ত্রী এবং সন্তানের উপর কোনও চাপ তৈরি না হয়, সে ব্যাপারেও ওই যুবককে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

বিচারকের নির্দেশ মেনে এদিন আদালত চত্বরে বিয়ের আসর বসে এবং শাঁখা, সিঁদুর পরিয়ে, মালাবদল করে সামাজিক বিয়ের পাশাপাশি রেজিস্ট্রি বিয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। আদালতের নির্দেশে খুশি পাত্র-পাত্রী এবং তাঁদের পরিবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here