হাইলাইটস

  • ফরাসি সেনার জঙ্গি দমন অভিযান
  • ফরাসি সেনার জঙ্গি দমন অভিযান
  • প্রাণ গেল কমপক্ষে ৫০জন জেহাদির

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি একের পর এক হামলার শিকার হয়েছে ফ্রান্স। সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই মদত দেওয়া হবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এবার হাতে নাতে সেই কাজ শুরু করে দিল ফরাসি বাহিনী। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে জঙ্গিদমন অভিযানে নেমেছে ম্যাক্রোঁর বাহিনী। আর সেই বিমান হামলায় বড়সড় সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেছে ফরাসি সরকার। সেন্ট্রাল মালিতে এই এয়ার স্ট্রাইকে আলকায়দার সাথে যুক্ত ৫০ জন জেহাদিকে নিকেশ করা গিয়েছে বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার থেকেই মালিতে এয়ার স্ট্রাইক চালাচ্ছে ফরাসি বায়ুসেনা। বুরকিনা ফাসো ও নাইজার সীমান্তের কাছে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে বলেছেন, নাইজার সীমান্তের কাছে দীর্ঘসময় ধরেই আল কায়দার গোপন ঘাঁটি তৈরি হয়েছিল। জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজও চলতে। সেখানেই অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। বেশিরভাগ জঙ্গি ক্যাম্পই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।


জুন মাসেই মালিতে আল কায়দা প্রধান মালিক দ্রুকদেলকে নিকেশ করেছিল ফরাসি সামরিক বাহিনী। ফের মালিতে জঙ্গি দমন অভিযান চালান ফ্রান্সের বিমান বাহিনী। সূত্রের খবর, এয়ার স্ট্রাইকে আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত ৫০ জন জিহাদি খতম হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি মালি সরকারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করেন। তারপরেই জঙ্গি দমন অভিযানের কথা জানান তিনি। ফরাসি সেনা জঙ্গিদের নিকেশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও দাবি করেন তিনি। পার্লি জানান,  বুরকিনা ফাসো এবং নাইজেরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এই এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়। 

ফ্লোরেন্স বলেন, ‘৩০ অক্টোবর মালির বরখানে বাহিনী একটি অভিযান চালায়, ওই অভিযানে ৫০ এর বেশি জিহাদিকে নিকেশ করা হয়েছে। ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন অ্যান্টি-জিহাদি অভিযান অনুযায়ী তাঁদের থেকে হাতিয়ার আর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।” পার্লি বলেন ফরাসি সেনার নজরদারি ড্রোন দেখার পরেই জঙ্গিরা গোপন ডেরায় আশ্রয় নেই। বায়ুসেনা সেই ডেরা চিহ্নিত করে হামলা চালায়। এই অভিযানে ৪ জঙ্গিকে জীবন্ত পাকড়াও করেছে ফরাসি বাহিনী। 

জানা গিয়েছে, ফরাসি বায়ুসেনা দুটি মিরাজ বিমানের মাধ্যমে মিসাইল ফায়ার করে ও  একটি ড্রোন পাঠায়।  ফ্রান্সের সেনা মুখপাত্র কর্নেল ফ্রেডরিক বারব্রি জানিয়েছেন,জেহাদিরা ওই এলাকায় সেনার উপর আক্রমণ করার প্ল্যান করছিল। পাশাপাশি তিনি আরও জানান,  এবার গ্রেটার সাহারায় ইসালমিক স্টেট জঙ্গি নিকেশ করাই তাদের লক্ষ্য। এজন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার ফরাসি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। 

ফরাসি সেনা জানিয়েছে, দুটি মিরাজ ফাইটার জেট এবং সশস্ত্র ড্রোন পাঠানো হয় ওই এলাকায়। মিরাজ জেট থেকে মিসাইল হামলা করা হয় জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে। জিহাদিরা প্রথমে গাছের আড়ালে লুকিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ফাইটার জেট থেকে ছুটে যাওয়া মিসাইল জঙ্গি ক্যাম্পগুলোকে উড়িয়ে দেয়।


সেনার মুখপাত্র কর্নেল ফ্রেডেরিক বার্বরি বলেছেন, চার জঙ্গিকে পাকড়াও করা হয়েছে। এদের যোগ রয়েছে আল কায়দার সঙ্গে। জঙ্গিদের কাছ থেকে আত্মঘাতী জ্যাকেট ও প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ফ্রেডেরিকের দাবি, ফিদায়েঁ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছিল শিবিরগুলিতে। এর পরের মিশন গ্রেটার সাহারা। সেখানে অন্তত তিন হাজার ইসলামপন্থী জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে খবর।

গত জুন মাসে স্থানীয় সেনাবাহিনীর সাহায্যে উত্তর মালির আল কায়দা ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ফরাসি বায়ুসেনা। সেই এয়ার স্ট্রাইকে আল কায়দা প্রধান আমির আবদেল মালেক দ্রুকদেল ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ অনুচর নিকেশ হয়। ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, আফ্রিকায় আল কায়দা শিবিরে বড়সড় ধাক্কা ছিল সেই অভিযান। দ্রুকদেল জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিনিরেরও (জেএনআইএম) দায়িত্বে ছিলেন। তাঁকে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বলেই ডাকা হত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here